ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজশাহীতে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না: জেলা প্রশাসন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২১
রাজশাহীতে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না: জেলা প্রশাসন রাজশাহীতে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না: জেলা প্রশাসন। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: তরমুজের দামের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ে বাংলানিউজে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মৌসুমি এই ফলটি যারা সিন্ডিকেট করে দুষ্প্রাপ্য করে তুলেছিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে আজ।

অভিযানের প্রথম দিন সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে- এখন থেকে আর রাজশাহীতে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না। কেউ খুচরা কিংবা পাইকারি বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের দুই জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আড়তগুলোতে অভিযান চালান। এ সময় তারা তরমুজ বিক্রি নিয়ে জেলা প্রশাসনের নতুন নির্দেশনাটি আড়তে আড়তে গিয়ে জানিয়ে দেন।

এদিকে, রাজশাহীর বাজারে তরমুজের দাম এবার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আকাশছোঁয়া দামের কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ তরমুজে গলা ভেজানো দূরে থাক তরমুজ ছুঁয়েই দেখতে পারছেন না।

রাজশাহীতে চলমান তাপদাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে ধর্মপ্রাণ রোজাদারদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ছে। সামান্য প্রশান্তি পেতে সারাদিন পর ইফতারে তরমুজে গলা ভেজাতে চাইছেন সবশ্রেণির মানুষ। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। তরমুজ যেন এখন উচ্চবিত্তদের ফল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে সবার মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

গত কয়েকদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে একটি তরমুজ জমি থেকে ঠিকায় মাত্র পাঁচ থেকে ১০ টাকা দরে কৃষকের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। সেই তরমুজ শহর এলাকায় নিয়ে এসে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। বাজার থেকে ফুটপাথ; শহরের যে প্রান্তেই যান না কেনো- প্রতিকেজি তরমুজের একটাই দাম ৬০ টাকা!

এমন অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বাজারে নামেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার ও কৌশিক আহমেদ। তাদের সঙ্গে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনও ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মহানগরীর সবচেয়ে বড় মোকাম শালবাগানের আড়তগুলোয় যান।

তাদের দেখে অনেক তরমুজের আড়ৎদার আড়তের বেড়া লাগিয়ে পালিয়ে যান। তবে কর্মকর্তারা দুটি আড়তে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। মামা-ভাগ্নে ফল ভাণ্ডারে গিয়ে দুই ম্যাজিস্ট্রেট সব আড়ত মালিকদের ডাকেন। তারপর জানিয়ে দেন, তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই। তাই বুধবার থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না। পিস হিসেবে বিক্রি করতে হবে। তাহলে ক্রেতারা দাম করার সুযোগ পাবেন। দামও তাহলে কমে আসবে।

দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বুধবার (২৮ এপ্রিল) থেকে যদি খুচরা কিংবা পাইকারি বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই এখন থেকে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে হবে।

আরও পড়ুন>> রাজশাহীতে তরমুজের বাজারে আগুন!

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২১
এসএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।