ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘প্রকল্পে যেখানে ধীরগতি রয়েছে, সেখানে আনতে হবে গতি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২১
‘প্রকল্পে যেখানে ধীরগতি রয়েছে, সেখানে আনতে হবে গতি’ ফাইল ছবি

ঢাকা: শিল্প মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় ভার্চ্যুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তাগাদা দেন।

তিনি বলেন, কোনোভাবেই প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা হবে না। প্রকল্পে যেখানে ধীরগতি রয়েছে, সেখানে গতি আনতে হবে। এক্ষেত্রে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে, যাতে প্রকল্প বাস্তবায়ন ধারাকে অব্যাহত রাখা যায়। সরকার কোভিড-১৯ সময়ে স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতের মতো শিল্পখাতকেও অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছে, তাই আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এ খাতের অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, অস্থায়ীভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম, সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ অতিদ্রুত শেষ করতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন করপোরেশনের সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে হবে।

সভায় জানানো হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কমর্মসূচিতে মোট ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি বিনিয়োগ, ৩টি কারিগরি সহায়তা এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি খাতে ১ হাজার ৬৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে ২ হাজার ৯৮ কোটি ৪৫ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। মার্চ/২০২১ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ১ হাজার ৪৮০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

সভায় আরও জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি ৩৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। সারের সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে পাঁচটি বাফার গোডাউন হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি আটটি বাফার গোডাউনের কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে। এছাড়া সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য বিভিন্ন জেলায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের সমাপ্তির জন্য ১৩টি প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে। এ সকল প্রকল্প জুন ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হবে।

সভার সভাপতিত্ব করেন শিল্প সচিব কে এম আলী আজম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২১
জিসিজি/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।