ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৩ লাখ ৬০ হাজার টন সার কেনার অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২১
৩ লাখ ৬০ হাজার টন সার কেনার অনুমোদন

ঢাকা: তিউনিসিয়া, বেলারুশ ও কাফকো থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টন সার কিনতে তিনটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২৬৩ কোটি ৯৮ লাখ ৪৬ হাজার ৪২০ টাকা।

বুধবার (০৫ মে) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ক্রয় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৭তম বৈঠকে অনুমোদনের জন্য ১৪টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৫টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ২টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। এর মধ্যে ৮ ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৫৭৭ কোটি ৮৭ লাখ ৪২ হাজার ৯৪২ টাকা।

তিনি বলেন, বৈঠকে গণপূর্ত বিভাগের যে প্রকল্পগুলো ছিলো সেগুলো আমরা বিবেচনা করিনি, কারণ এখন সময় নেই। এই অর্থবছরে কাজগুলো শেষ করা যাবে না। অর্থবছরের সময় আছে মাত্র একমাস। চলতি মাস বাদ দিলে জুন মাস শুধু বাকি আছে। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি গণপূর্ত বিভাগের যেগুলো চলমান কাজ সেগুলো চলবে এবং বিদেশি অর্থায়নের কাজগুলো চলবে। এছাড়া নতুন যেসব প্রকল্প যেগুলো লম্বা সময় লাগে কাজ শেষ করতে এবং এক থেকে দেড়মাসের মধ্যে শেষ করা যাবে না সেগুলো পরে কাজ শুরু করতে হবে। আমরা ঠিক করেছি এখন থেকে আগামী জুন পর্যন্ত গণপূর্ত বিভাগের নতুন কোনো প্রকল্প আমরা অনুমোদন দেবে না। এটা আমরা পরিষ্কার করে দিয়েছি। এ জন্য আজকের বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৫টি প্রস্তাব জুনের পরে পুনরায় উত্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক তিউনিশিয়া থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি টন সারের দাম ৫৬৮ মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৭২৩ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক বেলারুশ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতিটন সারের দাম ধরা হয়েছে ২৯২ দশমিক ৮৭ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৪৪৭ কোটি ৮২ লাখ ৭৫ হাজার ১৭০ টাকা।

এছাড়া সরাসরি ক্রয়ের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব টেবিলে উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবটি হলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া ক্রয়ের প্রস্তাব। প্রস্তাবটি বৈঠকে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতিটন সারে দাম ধরা হয়েছে ৩৬২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯২ কোটি ৩৮ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।