ঢাকা: ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে ব্যাংকগুলোতে চলছে স্বাভাবিক লেনদেন। তবে গ্রাহকের তেমন ভিড় নেই।
১২ মে থেকে শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। রোজা ২৯টা হলে ছুটি শেষ হবে ১৪ মে। ৩০টা হলে ছুটি থাকবে ১৫ মে পর্যন্ত। অধিকাংশ গ্রাহক রোজা ২৯টার হিসাব করে ১১ মে লেনদেন সম্পন্ন করেছেন।
বুধবার (১২ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাংকের শাখায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
ব্যাংক এশিয়ার বসুন্ধরা শাখার অপারেশনস ম্যানেজার এবিএম শাহিদুল হক বলেন, সকালে গ্রাহকের উপস্থিতি একটু বেশি থাকলেও দুপুর ১২টার পর আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অনেকই বুধবার সরকারি ছুটি মনে করে মঙ্গলবার লেনদেন সম্পন্ন করেছেন। যে কারণে ঈদের আগে শেষ কর্ম দিবসে ব্যাংকে গ্রাহকের তেমন চাপ নেই। লেনদেনের পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও আসছেন দু-একজন গ্রাহক।
মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় টাকা জমা দিয়ে বের হয়ে আসিফুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার (১১ মে) ব্যাংকে যে পরিমাণ ভিড় ছিল আজ (বুধবার) তার অর্ধেকও নেই। সাধারণ সময়ের মতো গ্রাহকের উপস্থিতি। অনেকেই মঙ্গলবার লেনদেন সম্পন্ন করে বাড়িতে রওয়া হয়েছেন।
আবার রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ কাউন্টারের সামনে কোনো গ্রাহক নেই। দু-একটি কাউন্টারে একজন করে গ্রাহক লেনদেন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।
রূপালী ব্যাংকের এক অফিসার বলেন, গ্রাহকের কোনো চাপ নেই। যে আসছেন সেবা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। কাউকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।
রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মহাব্যবস্থাপক খান মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, অধিকাংশ গ্রাহক মঙ্গলবার লেনদেন সম্পন্ন করেছেন। যাদের একান্তই প্রয়োজন তারা আজ ব্যাংকে আসছেন। ভিড় না থাকায় লেনদেন সম্পন্ন করে চলে যাচ্ছেন।
ঈদের ছুটিতে ১৩ থেকে ১৫ মে বন্ধ থাকবে ব্যাংকে লেনদেন। তবে ছুটির সময় এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটিএম বুথগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা-স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেও বলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২১
এসই/আরবি