ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘লকডাউনে’ খোলা স্থানে বসছে না কাঁচাবাজার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২১
‘লকডাউনে’ খোলা স্থানে বসছে না কাঁচাবাজার ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর ‘লকডাউন’ চলছে। ‘লকডাউনের’ মধ্যে খোলা স্থানে বাজার বসবে এমন ঘোষণা থাকলেও কোথাও এমনটি দেখা যায়নি।

তবে মহল্লায় খোলা স্থান না থাকায় নির্ধারিত স্থানেই বসছে বাজার। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্রেতা-বিক্রেতা পণ্য কেনাবেচা করছেন।

বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) রাজধানীর কাজীপাড়া, ইব্রাহীমপুর, পীরেরবাগ ও শেওড়াপাড়ারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

এসব বাজারে বিক্রেতারা জানিয়েছেন প্রধান সড়কের পাশে বাজার হওয়ায় এখানে খোলা জায়গা নেই। একই সঙ্গে বাজারের বাইরের ফুটপাতও বিক্রেতাদের দখলে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকানদারি করছেন বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের পাশের বাজারে সবজি বিক্রেতা মিজান বাংলানিউজকে বলেন, সড়কের পাশে আমাদের বাজার। এখানে খোলা জায়গা নেই। আর বাজারের বাইরে মেট্রোরেলের কাজ চলায় ফুটপাতও সঙ্কুচিত। তাই এখানেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা কেনাবেচা করছি। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই বেচাকেনা করেন বলে জানান তারা।

সরকারের নির্দেশনা মেনে আমরা কেনাবেচা করছি। মুখে মাস্ক পড়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকান করছি বলে জানালেন ইব্রাহীমপুর বাজারে সবজি বিক্রেতা মিলন মিয়া।

তিনি বলেন, কঠোর ‘লকডাউনে’ ক্রেতার সংখ্যা অনেকটাই কম। ‘লকডাউনের’ আগের তুলনায় বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে। আর যারাও আসছেন বাজার করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কেনাকাটা করছেন। খোলা স্থানে যে সুবিধা পাওয়া যেত এখানেও তারা সেটা পাচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাজারে নয় আমরা বরাবরই ফুটপাতে সবজি বেচাকেনা করি বলে জানালেন সবজি বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের মত প্রতিদিন সবজি বিক্রি করি সড়কে। করোনার মধ্যেও সকাল ৯ টা বিকাল ৫টার মধ্যে বিক্রি শেষ করে দেই বলে তিনি জানান।

শেওড়াপাড়া বাজারে বাজার করতে এসেছেন ব্যবসায়ী জামাল হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সকালে বাজারে এসে ভালোই লেগেছে। বাজারের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ক্রেতাও খুব একটা নেই। আর যারাও আসছেন তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে বাজার করছেন।

এদিকে এসব বাজারে মুখে মাস্ক পড়ে দোকানদাররা বেচাকেনা করছেন। কেউ কেউ টাকা লেনদেনের পর স্যানেটাইজার ব্যবহার করছেন। এই চিত্র শুধু ভয়ে নয় সারাবছরই থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সচেতন সমাজ।

অপরদিকে এসব বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। কিছু কিছু সবজির দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে বলেও জানান বিক্রেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২১
এসএমএকে/কেএআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।