ঢাকা: কারখানা ছুটির আগের দিনই শ্রমিকের বোনাস পরিশোধ করতে হবে কারখানা মালিকদের। বেতন-বোনাস পরিশোধে ব্যর্থ হলে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) শ্রম ভবনে ঈদের বেতন-বোনাস ও ছুটি নিয়ে আরএমজি বিষয়ক পরামর্শ পরিষদের ১০ম সভায় একথা বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
তিনি বলেন, এর আগে মন্ত্রণালয় নিজ উদ্যোগে শ্রমিকের বেতন-বোনাস আদায় করেছে। এবার বেতন দেওয়া শুরু হয়েছে, অধিকাংশ কারখানাই বেতন দিয়েছেন শ্রমিকদের। কিছু কারখানা বাকি রয়েছে। একই সঙ্গে বোনাস দেওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। সর্বোচ্চ ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে বোনাস পরিশোধ করেই কারখানা ছুটি দেবে মালিকপক্ষ।
কারখানায় ছুটি ও পরবর্তী বন্ধ বিষয়ে তিনি বলেন, এবারের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা অন্যবারের চেয়ে ভয়াবহ। এর আগে মৃত্যু ও আক্রান্ত কম ছিল, এবার তা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এ অবস্থায় এবারের ঈদে কারখানার শ্রমিকরা বাড়িতে যাবেন বলেই মনে হচ্ছে।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের অনেক ছোট ও মাঝারি কারখানা আছে, সবার অবস্থা একরকম না। অনেকেই বেতন দিতে পারবেন কিন্তু বোনাস দিতে কষ্ট হয়। এরপরও তারা বোনাস পরিশোধ করেন।
বিকেএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা কষ্ট করে মহামারির মধ্যে বেতন-বোনাস দিচ্ছি। এ অবস্থায় অতিরিক্ত বেতন কীভাবে হবে।
ছুটির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সরকারের যে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে চাই। সরকার যা চাইবে আমরা তা মেনে নেবো।
অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান, বিজিএমইএ’র পরিচালক হারুনুর রশিদ, নাভিদুল হক, বিকেএমইএ’র পরিচালক মোস্তফা মনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
ডিএন/এএ