ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে চাল-ডিমের দাম, কমেছে আলু-পেঁয়াজের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২১
বেড়েছে চাল-ডিমের দাম, কমেছে আলু-পেঁয়াজের

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে চাল, ব্রয়লার, সোনালি মুরগি ও ডিমের। তবে দাম কমেছে আলু ও পেঁয়াজের দাম।

অপরদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

চাল বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ছে চালের দাম। ঈদের পরে চালের দাম আরও বাড়বে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজির বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। এসব বাজারে প্রতি কেজি বেগুন (লম্ব) ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। চাল কুমড়া পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর গাট ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ সব বাজারে আলুর দাম ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।

বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ৪০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। কাকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া শুকনো মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদার দাম বেড়ে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। দাম বাড়ে বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা, পোলাওয়ের চাল আগের দামেই ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কালশী বাজারে চাল বিক্রেতা ডেইলি মার্ট দোকানের মালিক শাহাদাৎ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ছে চালের দাম। মধ্যস্বত্বভোগী বা পাইকাররা বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর ফলে কৃষক চালের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।  

মিরপুর-১১ নম্বর বাজারে চাল বিক্রেতা আমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পাইকার আর সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ছে চালের দাম। গত মৌসুমে এ সময় চালের দাম কম ছিল। এখন বেশি দামে চাল বিক্রি করছি। ঈদের পরেই আসছে বিধি-নিষেধ বা লকডাউন এ সময় চালের দাম আরও বাড়তে পারে।

দাম বেড়ে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন ১৫০ টাকা।

দাম বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। লেয়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই আগের থেকে কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মুরগির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে, বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২১
এমএমআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।