ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় খুলনায় বড় গরু অবিক্রিত

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২১
কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় খুলনায় বড় গরু অবিক্রিত

খুলনা: খামারি হানিফ হাওলাদার ‌‘সম্রাটের’ দাম হেকেছেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ক্রেতারা দাম বলেছেন, তিন লাখ টাকা।

দর-দামে না পোষায় ষাঁড় সম্রাট এখনও বিক্রি হয়নি। যে কারণে কপালে চিন্তার ভাঁজ খামারির।

খুলনা মহানগরীর জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাটে গরু নিয়ে আসা খামারি হানিফ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে বাংলানিউজকে বলেন, দর-কষাকষি করে ক্রেতারা চলে যাচ্ছেন। তবে আশা করি, মঙ্গলবার সম্রাট বিক্রি হয়ে যাবে।

তিনি জানান, তার মতো হাটে আসা অনেকেরই বড় গরু বিক্রি হয় নি। হাটে বড় গরুর ক্রেতা কম।

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা থেকে গরু নিয়ে আসা মিলন আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার হাট শুরুর পর ১২টি গরু নিয়ে এসেছিলাম। এ পর্যন্ত ৬টি গরু বিক্রি হয়েছে। তবে, বড় ৬টি গরু রয়ে গেছে। আজকে ভোর থেকে  বৃষ্টি হচ্ছে এ নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি। বৃষ্টির কারণে বাজার এখনও জমে উঠেনি।
একই জেলার নড়াগাতি এলাকা থেকে আসা হোসেন বলেন, সোমবার তিন টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। বড় গরুটির দাম সাড়ে ৩ লাখ ও বাকি দু’টি আড়াই লাখ টাকা দাম চেয়েছি। একদিন অতিবাহিত হলেও একটি গরুও বিক্রি হয়নি। যে কারণে ভীষণ চিন্তায় আছি।

বড় গরুর খামারিরা জানান, গরু লালন-পালন করতে যে খরচ তাদের হয়েছে, সে দামও দিতে চাচ্ছে না ক্রেতারা। ফলে অনেকে এখনও গরু বিক্রি করেননি। তবে, বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানিয়েছেন এবার তুলনামূলক খুলনার হাটে পশুর দাম কম।

খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, খুলনার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর এ হাটটিতে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে দেশি-বিদেশি নানা জাতের গরু নিয়ে এসেছেন হাজার হাজার খামারি ও ব্যবসায়ী। লাল, সাদা কিংবা কালো-রঙ দেখে যে যার মতো পছন্দ করছেন, তেমনি ওজন আর আকারভেদেও দর কষাকষিতে ব্যস্ত ক্রেতা বিক্রেতারা। বরাবরের মতো বড় আকারের থেকে ছোট ও মাঝারি গরু কেনার দিকেই বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। যার কারণে অধিকাংশ বড় গরু অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে।

জানা গেছে, খুলনা শহরের অনেকে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া, আঠারো মাইল, শাহপুর, খর্ণিয়া থেকে গরু কিনে এনেছেন। করোনার কারণে হাটে না যাওয়ার জন্য অনেকে আবার অনলাইনে গরু কিনেছেন। যে কারণে হাটে কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ী ও খামারিরা।

জোড়াগেট পশুর হাট ছাড়াও খুলনা জেলায় পশুর হাট বসেছে রূপসা উপজেলার তালিমপুর, পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া, শাহাপুর, আঠারো মাইল, চুকনগর, দাকোপ উপজেলার বাজুয়া, চালনা, ফুলতলা উপজেলা সদর, কয়রা উপজেলার দেউলিয়া, গোবিন্দপুর, কালনা, ঘুগরাকাঠি, মান্দারবাড়িয়া, হোগলা, পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী, গদাইপুর, কাছিকাটা, পাইকগাছা জিরোপয়েন্ট, দিঘলিয়া উপজেলার এমএম মজিদ কলেজ মাঠ, জালাল উদ্দিন কলেজ মাঠ, পথেরবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তেরখাদা উপজেলার ইখড়ি কাটেঙ্গা, বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২১
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।