ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাড়া-মহল্লার গলিতে বিক্রি হচ্ছে ছাগল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২১
পাড়া-মহল্লার গলিতে বিক্রি হচ্ছে ছাগল

ঢাকা: রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। এ ঈদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে পশু কোরবানি করা।

তাই ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর অলিতে-গলিতে এবং পাড়া-মহল্লায় বিক্রির জন্য ছাগল নিয়ে অপেক্ষা করছেন ক্রেতার।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।

ছাগলের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় দামের পার্থক্য। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ছাগলের দাম কম এবং বিক্রিও কম হচ্ছে। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ গতবারের তুলনায় এবারের ছাগলের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।  

রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় বসবাসকারী ফজলুল কবির নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রতি বছর তিনি একটি গরু এবং একটি ছাগল কোরবানি দেন। গরু কেনা হয়েছে তবে এখনো ছাগল কিনতে পারেননি তিনি।

তিনি বলেন, যে ছাগলের দাম ১৫ হাজার হওয়ার কথা সেই ছাগলের দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। ১৮ হাজার টাকা বললেও দিচ্ছে না। ছাগল পছন্দ হলেও দামের কারণে এখনো কিনতে পারিনি।  

ছাগলের দাম জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলছেন, গতবারের তুলনায় এবার ছাগলের দাম কম। মানুষ ছাগল কম কিনছেন।  

ধানমন্ডির শংকরে ছাগল বিক্রি করছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া এলাকার আব্দুল বারেক নামে এক ব্যক্তি।

তিনি বলেন, আমার ২৫টি ছাগলের মধ্যে মাত্র সাতটি ছাগল বিক্রি করতে পেরেছি। যেগুলো বিক্রি করেছি সেগুলোর মধ্যে দুই-একটায় খুবই সামান্য লাভ হয়েছে। আবার কোনও ছাগল বিক্রি করে লাভ করতে পারিনি। এখন বাকিগুলো লাভ না হলেও চালান উঠলেই বিক্রি করে দেবো।

একই এলাকায় ছাগল বিক্রি করছেন রাজবাড়ীর জেলার হাশেম। তিনি বলেন, এবার হয়তো করোনার কারণে মানুষের কাছে টাকা পয়সা কম। তাই ছাগল বিক্রিও কম হচ্ছে। আমার ৩২টি ছাগলের মধ্যে মাত্র আটটি ছাগল বিক্রি করতে পেরেছি। কাস্টমার কম আসছেন, বাকিগুলো বিক্রি করতে পারবো কিনা বুঝতে পারছি না।  

অপর এক ছাগল বিক্রেতা রায়ের বাজার এলাকার সাইদুল। তিনি বছরের অন্যান্য সময় মুরগির ব্যবসা করলেও কোরবানির ঈদে প্রায় ১৫ বছর ধরে ছাগল বিক্রি করেন।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এবার ছাগলের বিক্রি কম। যে দামে ছাগল বিক্রি করছি এ বছর লাভ হওয়া তো দূরের কথা পুঁজি তুলতে পারলেই খুশি।

দুপুর পর্যন্ত ছাগল বিক্রি কম হলেও বিক্রেতারা আশা করছেন বিকেল এবং সন্ধ্যার পরপরই বেচা-বিক্রি ভালো হবে। বিক্রেতারা যে ছাগলগুলো নিয়ে এসেছেন পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করার জন্য সেগুলো বিক্রি করতে পারলেই তারা খুশি বলেও জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২১
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।