চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ভারতীয়দের মতো বাংলাদেশিরাও যাতে ভিসা ছাড়া নেপালে ভ্রমণ ও ব্যবসা করতে পারেন, সে ব্যাপারে দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশিধর মিশ্র।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা দিয়ে যেমন নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য চালু আছে, তেমনি রাজশাহী অঞ্চলের জনসাধারণের স্বার্থে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়েও দ্রুত একই ধরনের কার্যক্রম চালু করা হবে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘তিন দেশীয় শক্তিশালী ট্রানজিট রুট হিসেবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মংলা বন্দর ও উত্তরাঞ্চলের এ স্থলবন্দরগুলোকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে আমরা অনেক দূর এগুতে পারি। ভারতের সঙ্গে যেমন নেপালে চলাচলে কোনো ভিসা লাগে না, তেমনি বাংলাদেশি জনগণ যেন ব্যবসা ও ভ্রমণ করতে ভিসা ছাড়াই নেপালে যেতে পারেন, সেজন্য বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে তিনি একটি অপরূপ সৌন্দর্য মণ্ডিত জেলা হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘এ জেলায় সারি সারি আমবাগান, ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চালু থাকায় নেপালের সঙ্গেও বাণিজ্য যেন চালু হয়, এ জন্যই চাঁপাইনবাবগঞ্জ পরিদর্শনে এসেছি। ’
‘এখানকার সব কিছু ভালো লেগেছে, আমি আশাবাদী, দ্রুতই সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে বাণিজ্য শুরু হবে,’ যোগ করেন রাষ্ট্রদূত।
এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, সোনা মসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মঈনুল ইসলামসহ প্রশাসন ও বন্দর সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় শেষে সোনামসজিদ বন্দরের বিপরীতে ভারতের মাহদীপুর স্থলবন্দর পরিদর্শন করে তিনি রহনপুর রেলবন্দর পরিদর্শন করেন।
এ আগে রোববার রাতে শহরের একটি হোটেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অ্যান্ড কর্মাসের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
এসআই