ঢাকা: ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রধান প্রজনন মৌসুমে বা ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে আজ শনিবার মধ্যরাত (৪ অক্টোবর) থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ০৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে।
এদিকে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ১১ হাজার ১১৮ দশমিক ৮৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৩৭ জেলার ১৫১টি উপজেলায় মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪৪ জন জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের চেয়ে বেশি ২৭ হাজার ৬০২টি জেলে পরিবারকে এবার এ বরাদ্দের আওতায় আনা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবার ২০ কেজি করে চাল পাবে। নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই এ বছর ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ভিজিএফ চাল ২৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত ও প্রকৃত জেলেদের মধ্যে এ ভিজিএফ বিতরণ নিশ্চিত করার জন্য বরাদ্দপত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে ২০০৩-২০০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছিল। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১১ দিন মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখন থেকেই এর সুফল দেখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। তখন তারা গবেষণায় দেখতে পান, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এই সময়ের অমাবস্যাতেও ইলিশ ডিম ছাড়ে। পরে পূর্ণিমার সঙ্গে অমাবস্যা মিলিয়ে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া শুরু হয়।
জানা যায়, গত অর্থবছরে দেশে ৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আহরিত হয়েছে। এর ৬৬ ভাগ এসেছে বরিশাল বিভাগের জেলাগুলো থেকে। এই পরিমাণ তিন লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২১
জিসিজি/আরএ