ঢাকা: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, সেবার মান বাড়িয়ে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে বিমানকে যাত্রীদের আস্থা ও ভালবাসার ব্র্যান্ডে পরিণত করতে কাজ চলছে। কেউ বিমানের ইমেজ নষ্টের চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
শনিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকাতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকাকে বুকে ধারণ করে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে দেশের মানুষকে পৌঁছে দেয়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দেশের এভিয়েশন শিল্পের বিকাশে বিমান পথপ্রদর্শক। প্রতিষ্ঠার পর হতে গত ৪৯ বছরে বিমান নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে পথ অতিক্রম করেছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ ও নির্দেশনায় বিমানকে নতুনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে, বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে ১৫টি সম্পূর্ণ নতুন সর্বাধুনিক উড়োজাহাজ। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট বৃদ্ধির মাধ্যমে বিমানের অপারেশনের পরিধি ও ব্যাপ্তি ধীরে ধীরে বাড়ছে।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ এর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প। বিশ্বের সব এয়ারলাইন্স একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সময় পার করেছে। বিমানও এর বাইরে নয়। সে সময় দেশে দেশে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তাদের কর্মী ছাঁটাই করেছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নির্দেশনার কারণে বিমানের একজন কর্মীকেও চাকরি হারাতে হয়নি। তখন অপারেশনাল ব্যয় হ্রাস এবং বিমানের সব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ কমে আসায় আকাশ পথে চলাচল আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এই সুযোগ সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে। এখন সময় এসেছে কাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার ও প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধে বিমানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর এগিয়ে আসার।
আলোচনা সভা শেষে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫০ বছর পূর্তির লোগো উন্মোচন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানের সবাইকে মনে রাখতে হবে যাত্রীসেবার মান ও নিরাপদ ভ্রমণের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ইমেজ যেমন জরুরি, তেমনি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর সঙ্গে দেশের ইমেজও জড়িত। যারা বিমানের ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে। বিমানের সবাইকে সম্মিলিতভাবে যাত্রীসেবার মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে বিমান ‘আকাশে শান্তির নীড়’ কথাটি সত্য বলে প্রমাণ হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
এমআইএইচ/এমএমজেড