নওগাঁ: নওগাঁর সবচেয়ে বড় খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম কমলেও হঠাৎই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সরু ও মাঝারি রকমের চাল। বিশেষ করে শম্পা কাটারি জাতের চাল এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ টাকা।
এছাড়াও কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে জিরা, বিআর-২৯ ও বিআর-২৮ জাতের চালের দামও। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, মোকাম থেকেই তাদের বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দামেই।
বাজারে হঠাৎই বেড়েছে সব ধরনের চিকন চালের দাম। প্রকারভেদে ৪ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে এসব চাল। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মোকামেই বেশি দাম দিতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু মিল মালিকরা বলছেন গত এক মাসের ব্যবধানে কোনো চালের দামই বাড়ানো হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে চরম কষ্টে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। বাজার থেকে চড়া দামে চাল কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ভরা মৌসুমেও এমন দর বৃদ্ধিতে হতাশ তারা।
নওগাঁ চাল বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, এক সপ্তাহ হলো মোকাম থেকে আমাদের বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে তারা ধানের দাম বেশির কথা বলছেন। মোকামে বেশি দামে চাল কিনে খুচরা বাজারে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে সাধারণ ক্রেতাদের নানামুখী প্রশ্নের উওর দিতে হচ্ছে আমাদের। কিন্তু চালের দাম বাড়াতে খুচরা ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই।
নওগাঁর মিল মালিক শেখ ফরিদ উদ্দিন বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের কোনো মানে নেই। মোকামে গত ২০ দিন চালের দাম বাড়তি হয়নি। বাড়তি সুবিধা নিতেই সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এদিকে এমন পরিস্থিতে দাম বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখতে বিভাগের জেলাগুলোতে মনিটরিং জোরদার করেছে খাদ্য বিভাগ।
রাজশাহী বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুখ হোসেন পাটওয়ারী জানান, বাজারে ধান এবং চালের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে আমাদের সব রকম চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে৷ কোনোভাবেই যেন অসাধু ব্যবসায়ী বাজার অস্থির করতে না পারে এ বিষয়ে খাদ্য কর্মকর্তা নিয়মিত মনিটরিং করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
আরএ