ঢাকা: চার মাসের ব্যবধানে দেশের ব্যাংকিংখাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩দশমিক ২১শতাংশ। সেপ্টেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ৬শ ৭৭ কোটি টাকা।
ব্যাংকাররা বলছেন, আমানতের সুদ কমার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমার পরে বিনিয়োগ বাড়তে শুরু করায় ধীরে ধীরে ব্যাংকিংখাতে আমানত কমতে শুরু করেছে। মহামারি চলে গেলে এই ধারা অব্যহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। আমানতের সেই ধারা অব্যহত ছিল চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত। ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। তারপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে কমছে আমানতের প্রবৃদ্ধি। সেপ্টেম্বর শেষে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশে।
এদিকে ব্যাংকিংখাতে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় চলতি বছরের আগস্টে মেয়াদী আমানতের সর্বনিম্ন সুদহার নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে ব্যক্তি পর্যায়ে আমানতের সুদহার মুল্যস্ফীতির নিচে হতে পারবে না। সুদহার নির্ধারণের জন্য আগের তিন মাসের গড় মুল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আমানতের মুনাফার সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার পর ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের নিরুৎসাহিত করছে। বিনিয়োগ সঞ্চয়পত্র ও পুঁজিবাজারে চলে যাচ্ছে। ফলে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।
জানতে চাইলে বেসরকারি ব্যাংক এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, করোনায় বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় ব্যাংকিংখাতে প্রচুর তারল্য জমেছিল। এতে আমানতের সুদও কমে গিয়েছিল। তখন সঞ্চয়পত্র ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগও করেছে মানুষ। যার প্রভাব পড়েছে আমানতের প্রবৃদ্ধিতে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
এসই/এসআইএস