ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আবারও বেড়েছে মুরগির দাম, কমেছে পেঁয়াজের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
আবারও বেড়েছে মুরগির দাম, কমেছে পেঁয়াজের

ঢাকা: বছরের শেষ দিনে বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। কমেছে পেঁয়াজের দাম।

এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।  

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৬০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৫০ টাকা, ফুল কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, পাতা কপি ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।

এসব বাজারে পুরান আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। দাম কমে নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

আগের দামে বিক্রি হচ্ছে রসুন। চায়না রসুনের বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি ডালের কেজি ১১০ টাকা। ইন্ডিয়ান ডালে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারে পিঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের আমদানি ভালো। বার্মা ও ভারত থেকে দেশে এসেছে পেঁয়াজ, এ কারণেই দাম কমেছে।

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।  

বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

আবারো বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ২০ টাকা দাম বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। গতসপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা।

এদিকে ১০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা।  

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, বাজারের মুরগির সরবরাহের কোন সমস্যা নেই। সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে দাম। এছাড়া নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে মুরগির দাম বাড়তি।

বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
এমএমআই/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।