ঢাকা: ব্যাংকের গ্রাহকদের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় পাস হওয়া ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ কার্যকর করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবৃদ্ধি ও নীতি বিভাগ থেকে এবিষয়ে একটি সার্কুলার জারী করে দেশে কার্যত সকল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে পাস হয়েছে। ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর থেকে ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ কার্যকর হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংকার্স বুক ইভিডেন্স অ্যাক্ট, ১৯৮১ রহিত করা হয়েছে। ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ এর অনুলিপি আপনাদের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হলো।
আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, চলমান বিশ্বায়নের যুগে দ্রুতগতিতে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের উন্নয়নের ফলে আইসিটি ভিত্তিক ব্যাংকিং এখন অপরিহার্য। অনলাইন ব্যাংকিংসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেনের তথ্যাদি ইলেকট্রনিক ডাটা ডিভাইসে সফট কপি হিসেবেও সংরক্ষিত হচ্ছে। ফলে ‘ব্যাংকারস’ বুকস এভিডেন্স অ্যাক্ট-১৮৯১ এর পরিবর্তে আইনটি সময়োপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়ন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
আইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেসব রেকর্ড হবে সেগুলোও ‘সাক্ষ্য বহি’ হিসেবে আইনে বিবেচিত হবে। ব্যাংকগুলোর লেজার বুক, ক্যাশ বুক, লোন ডেসপাস বুক যা আছে- সবই এর অন্তর্ভুক্ত হবে। বর্ণিত কারণ ছাড়া কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোনো গৃহীত তথ্য প্রকাশ করলে তার সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে। এ আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আদালতের সম্মতিতে আপসযোগ্য হবে বলে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিচে কোনো পুলিশ কর্মকর্তার লিখিত প্রতিবেদন ছাড়া আদালত এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করবে না। তথ্য প্রকাশের অনুমোদিত ক্ষেত্র এবং আদালতের এখতিয়ার সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
এসই/জেআইএম