বাগেরহাট: বাগেরহাটের একমাত্র আন্তর্জাতিক নৌ-প্রটোকল রুট মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘষিয়াখালী (বিএমজি) ক্যানেল’ করা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালে দেশের নদী পথের গুরুত্ব বিবেচনায় মোংলা-ঘষিয়াখালী ক্যানেলটি খনন করিয়েছিলেন। নাব্যতা সংকটের কারণে ক্যানেলটি ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। মোংলা বন্দরকে সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ক্যানেলটির নাব্যতা রক্ষায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হয়। পরে আবার ক্যানেলটি সচল হয়। ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্যানেলটি উদ্বোধন করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকে ধরে রাখতে তার জন্মশত বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেলকে ‘বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘষিয়াখালী (বিএমজি) ক্যানেল’ নামকরণ করা হয়েছে। এখন থেকে মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-রুটটিকে ‘বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘষিয়াখালী (বিএমজি) ক্যানেল’ নামে পরিচিত হবে। এ বিষয়ে জারিকৃত গণবিজ্ঞপ্তি সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পাঠিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মতিন বলেন, আন্তর্জাতিক নৌ-প্রটোকল রুট মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি বঙ্গবন্ধু খনন করিয়েছিলেন। এ চ্যানেলের সঙ্গে জাতির পিতার অনেক স্মৃতি রয়েছে। তাই জাতির পিতার স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে নাম পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেলটির দৈর্ঘ্য ২৬ কিলোমিটার। গড় প্রস্থ ২৫০ থেকে ৩০০ ফুট। বর্তমানে ভাটার সময় এ চ্যানেলের গভীরতা ১৬ ফুট। ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত এ চ্যানেলে ২ লক্ষাধিক নৌযান চলাচল করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এসআই