সাতক্ষীরা: ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে ট্রাকের সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন।
বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী নেতা রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সান্টু চৌধুরী, দীপঙ্কর ঘোষ, মিজানুর রহমান, আবু মুসা, শাহীনুর রহমান, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের আরিফুজ্জামান বাবলু, তরিকুল ইসলাম, কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের নাসিরউদ্দীন, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভোমরা শুল্ক স্টেশনে বিগত ৬ মাসে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১০৪ কোটি টাকা। ভোমরা বন্দর দিয়ে ৭৭টি পণ্যের মধ্যে মাত্র ২২টি কম শুল্কের পণ্য আমদানি করা হয়। এর আগে, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি করা হতো। কিন্তু সিরিয়ালের নামে ভোমরার বিপরীতে ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে ট্রাক প্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। যারা টাকা দিতে পারেন না, তাদের ট্রাক ২০-৩০ দিন আটকে রাখা হয়। ফলে পচনশীল পণ্য আমদানিতে উৎসাহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বক্তারা আরো বলেন, সব স্থলবন্দরের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা না দিলে ভোমরা স্থলবন্দরে ব্যবসা করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল ও সোনামসজিদ বন্দরে প্রতি ট্রাকে ৩ টন পণ্য ছাড় দেওয়া হয়। আর ভোমরা স্থলবন্দরে মোটেও ছাড় দেওয়া হয় না। ফলে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ভোমরা স্থলবন্দর থেকে।
সভাপতির বক্তব্যে এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, ঘোজাডাঙ্গায় চাঁদাবাজির কারণে ভারত থেকে আনা আমদানিজাত পণ্যের মূল্য এদেশে বেড়ে যাচ্ছে। দেশের অন্য বন্দরের তুলনায় এই বন্দরে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিকারকরাও এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এর প্রভাবে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এই স্থলবন্দরটি মুখ থুবড়ে পড়বে।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধে রোববার তিনঘণ্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন এবং সোমবার চারঘণ্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধনের কর্মসূচি রয়েছে। এসব কর্মসূচিতেও যদি অবৈধ এই অর্থ আদায়ের ঘটনা বন্ধ না হয় তাহলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
এনটি