ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনায় অনলাইন রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ উদ্বোধন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২
ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনায় অনলাইন রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ উদ্বোধন ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনায় অনলাইন রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

ঢাকা: দেশের ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং ব্যবসা পরিচালনায় অনলাইন রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ ‘ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন (ইউবিআইডি)’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ডিজিটাল কমার্স ব্যবসার সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা সভা শেষে দুপুর ১টায় অ্যাপটির উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

এই অ্যাপ উদ্বোধনের ফলে ফেসবুকসহ অনলাইন মাধ্যমে যারা ব্যবসা করবেন তাদের নিবন্ধনের আওতায় আসতে হবে। মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত আরজেএসসি থেকে এই নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে।

উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

ইউবিআইডি উদ্বোধনকালে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন এবং সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে চালডাল ডটকমের সিইও জিয়া আশরাফ, ডায়বেটিস স্টোরের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, রকমারি ডটকমের সিইও মাহমুদুল হাসান সোহাগ, আজকের ডিলের সিইও ফাহিম মাশরুর, সাজগোজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল শেখ, যাচাই ডটকমের সিইও আব্দুল আজীজ, তৃণাস ক্লোসেটের প্রোপাইটর ফারহা মাহমুদ তৃণা, নওরীনস মিররের প্রতিষ্ঠাতা হোসনে আরা খান নওরীন, ফেইসবুক শপ আখিস কালেকশানের প্রোপাইটর সালমা রহমান আঁখি, ফেইসবুক শপ নিথানের প্রোপাইটর ফারহা দিবা, ফেইসবুক শপ মম ফানুসের প্রোপাইটর মুসরেফা জাহানের হাতে নিবন্ধনের সনদ তুলে দেওয়া হয়।

ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিবন্ধনের এই উদ্যোগ জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে শুরু হলো। এর মাধ্যমে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের যে ই-কমার্স উদ্যোক্তা তার স্বীকৃতি ছিল না। এতে তাদের স্বীকৃতির পথ তৈরি হলো। আমরা হয়তো একটা সময় পর বলবো যারা নিবন্ধনের বাইরে ব্যবসা পরিচালনা করছে তাদের দায় দায়িত্ব নিতে পারবো না।

ই-কমার্স খাতে এখন বছরে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে জানিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এটি একটি বৃহৎ বাজারে পরিণত হওয়া সত্ত্বেও কিছু কারণে এখানে বিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। অনেকে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সেই জায়গা থেকে পুরো লেনদেন কীভাবে ডিজিটাল করা যায় আমরা সেই উদ্যোগ নিয়েছি।
 
ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের নিবন্ধনের মধ্যে নিয়ে আসা এবং প্রতারণার সুযোগগুলো বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা চারটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম।

‘প্রথমই ছিল ই-কমার্স কোম্পানিগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা। দ্বিতীয়ত, অভিযোগ নিষ্পত্তির জায়গা তৈরি করার উদ্যোগ। তৃতীয়ত, কেন্দ্রীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি প্ল্যাটফর্ম সিসিএমএস ও সেন্ট্রাল লজিস্ট্রিকস ট্র্যাকিং সিস্টেম সিএলটিসি চালু করা। চতুর্থত, ই-কমার্সে যত ধরনের লেনদেন হচ্ছে সেগুলোকে ট্র্যাকিং করতে, ট্রানজেকশন হিস্ট্রি রেকর্ড করতে ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। ’
 
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই এটির নাম দিয়েছেন বিনিময়। বিনিময় অ্যাপের ডেমস্ট্রেশন হয়ে গেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিনিময় ও ট্র্যাকিং সেবা দুটো চালু করতে পারবো বলে আশা রাখি।
 
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার উপিস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও, পুলিশের সিআইডি, এসবি, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তরসহ মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২/আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এএটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।