ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বড় ঋণে ‘দক্ষ সংগঠক’ অগ্রণী ব্যাংক

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
বড় ঋণে ‘দক্ষ সংগঠক’ অগ্রণী ব্যাংক

ঢাকা: শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বড় আকারের ঋণের দক্ষ সংগঠক হিসেবে ভূমিকা রাখছে অগ্রণী ব্যাংক। সাফল্য কেবল ঋণ বিতরণে নয়, আদায়ের ক্ষেত্রেও দেখিয়েছে পারদর্শিতা।

এ ধরনের ঋণে কোনো খেলাপি নেই প্রতিষ্ঠানটির।

সূত্র জানায়, মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক ১৯৯৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৯৭টি প্রকল্পের সিন্ডিকেশন ঋণ মঞ্জুরি করেছে। এর মধ্যে ২৬টি ঋণের ক্ষেত্রে প্রধান সংগঠকের (লিড অ্যারেঞ্জার) ভূমিকা পালন করে ব্যাংকটি।

ঋণদাতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যখন কোনো একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্মিলিতভাবে ঋণের ব্যবস্থা করে তখন সেই লোন বা ঋণ হয়ে যায় একটি সিন্ডিকেশন লোন। গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অগ্রণী ব্যাংক সিন্ডিকেশন বা কনসোর্টিয়াম ব্যবস্থার আওতায় মোট ছয় হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরি করা হয়েছে। যার মধ্যে বিতরণ হয়েছে চার হাজার ৪০২ কোটি টাকা। বিতরণকৃত ঋণ আদায়ের হার ৯০ শতাংশ।

সিন্ডিকেশন লোনের আওতায় মঞ্জুরীকৃত ছয় হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে চার হাজার ৪০৫ কোটি টাকা সংগঠন করে অগ্রণী ব্যাংক। এই অর্থের তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে ঋণ আদায়ে বেশি দক্ষতা দেখিয়েছে রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। এ ক্ষেত্রে বিতরণকৃত ঋণের আদায় ৯০ শতাংশ।

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, এটা একটা এক্সসেপশনাল কেস। আমি মনে করি, আউটস্ট্যান্ডিং পারফরম্যান্স অ্যাবাউট সিন্ডিকেশন লোনের ক্ষেত্রে।

তিনি বলেন, সিন্ডিকেশনে আমাদের পারফরম্যান্স রিয়েলি রিয়েলি স্টানিং অ্যান্ড হার্টেনিং। (সিন্ডিকেশনের ক্ষেত্রে) আমাদের কোনো এনপিএল (নন পারফর্মিং লোন) নেই। ব্যাংকিং এরিনাতে অগ্রণী ব্যাংকিংকে বলা হয় যে অগ্রণী ব্যাংক একক দক্ষতা অর্জন করেছে। সিন্ডিকেশন লোনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ব্যাংকের ‘একটা আউটস্ট্যান্ডিং পারফরম্যান্স’ আছে বলে দাবি করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রধান।

শামস-উল ইসলাম বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই আপনারা দেখবেন, দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পাঁচ হাজার ৮০০ কোটি টাকার মতো একটা প্রকল্প আসছে। সেখানেও অগ্রণী ব্যাংক লিড অ্যারেঞ্জার। পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়নের দিক থেকেও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে অগ্রণী ব্যাংক। সেতুটি নির্মাণে বৈদেশিক মুদ্রার শতভাগ জোগান দিয়েছে এই ব্যাংকটি। এ ছাড়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়নেও আমরা (অগ্রণী ব্যাংক) লিডার। জনতা ব্যাংকও সেখানে আছে। আমরা অনেক সেক্টরেই এই সফলতা অর্জন করে যাচ্ছি।

ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সিন্ডিকেশন ব্যবস্থার আওতায় মোট প্রকল্প ব্যয় চার হাজার ৭৩  কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয়ের বিপরীতে তিন হাজার ৫৫ কোটি টাকার তহবিল জোগানে লিড অ্যারেঞ্জার ও এজেন্ট ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড।

১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ নং-২৬-এর অধীনে হাবিব ব্যাংক ও কমার্স ব্যাংকের দায় ও  সম্পদ নিয়ে অগ্রণী ব্যাংক গঠিত হয়। এই ব্যাংক ২০০৭ সালের ১৭ মে কোম্পানি আইন-১৯৯৪-এর অধীনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে নিবন্ধিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।