ঢাকা: রমজানে সারাদেশে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দুই দফায় ১ কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে ফ্যামিলি কার্ডের ভিত্তিতে পণ্য বিক্রয় শুরু হচ্ছে রোববার (২০ মার্চ)।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রোববার (২০ মার্চ) সকাল ১০ টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্টেশন রোড এবং সকাল সাড়ে ১০টায় শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় পঞ্চবটি, পোস্তগোলা রোডে এ বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এবং টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হক উপস্থিত থাকবেন। সভায় সভাপতিত্ব করবেন জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ।
এর আগে ১৮ মার্চ কাওরান বাজারের টিসিবি কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে ভর্তুকি মূল্যে নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের মধ্যে টিসিবির পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে ১ কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডের ভিত্তিতে টিসিবির পণ্য বিক্রি চলবে। আমরা টিসিবির যে পরিমাণ কর্মসূচি ছিল ডাবল করে চালাতে চেয়েছিলেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটা এক কোটি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়েই এই কার্যক্রম ঢাকা শহরে চলবে। ঢাকার বাইরে ৫৭ লাখসহ ৮৭ লাখ মানে প্রায় ৫ কোটি লোক প্রত্যক্ষ ভাবে এ সহায়তা পাবে। ঢাকা শহরে ১২ লাখ পরিবারকে এটা দেওয়া হবে। তবে পেঁয়াজ নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই। রমজানের পর যদি এটা চলমান রাখতে হয় তাও করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ৩০ লাখ পরিবার আগে থেকেই লিস্ট করা ৫৭ লাখ সেটা চেষ্টা করেছি প্রপারলি পৌঁছাতে পারবো। যা ভর্তুকি লাগবে তাই দেওয়া হবে। প্রপার কার্ড হোল্ডাররা এটা পাবে। আশা করছি দাম ধরে রাখতে হবে। এটা চলমান করবো সেই রকম নির্দেশনা নেই তবে ট্রাকে যেভাবে দেওয়া হচ্ছিল সেটা চলবে।
তিনি আরও বলেন, ৩০ লাখ পরিবার আগে থেকেই লিস্ট করা ৫৭ লাখ সেটা চেষ্টা করেছি প্রপারলি পৌঁছাতে পারবো। যা ভর্তুকি লাগবে তাই দেওয়া হবে। প্রপার কার্ড হোল্ডাররা এটা পাবে। আশা করছি দাম ধরে রাখতে হবে। এটা চলমান করবো সেই রকম নির্দেশনা নেই তবে ট্রাকে যেভাবে দেওয়া হচ্ছিল সেটা চলবে।
তিনি বলেন, রমজান শুরুর আগেই আমাদের মানসিকতা থাকে পণ্য রিজার্ভ করতে এটা প্রচারের মাধ্যমে জানানো যায় পণ্য পর্যাপ্ত আছে। যাতে সাপ্লাই চেইনের উপর চাপ না পড়ে এটা সবার খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, করোনাকালীন বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে নগদ সহায়তা দেওয়ার যে ডাটাবেজ প্রণয়ন করা হয়। তার মধ্যে ৩০ লাখ পরিবার, সারাদেশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ৫৭ লাখ ১০ হাজার উপকারভোগী পরিবারের জন্য ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এর বাইরে ঢাকা সিটি করপোরেশনে ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৯০ হাজার উপকারভোগী রয়েছে। যাদের মধ্যে টিসিবি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসন সম্পৃক্ত থাকবে। বিগত ৮ মার্চ থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহে পণ্য পাঠানো শুরু হয়েছে এবং প্রতিটি জেলায় টিসিবির পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পৌঁছে গেছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি জেলায় খাদ্য অধিদপ্তর, বিএডিসি ও নির্ধারিত গুদামে টিসিবি'র পণ্যসমূহ গ্রহণ, প্যাকিং চলছে। ২০ মার্চ থেকে পণ্য বিক্রির যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
এসএমএকে/এনএইচআর