ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শসা-বেগুন-পেঁয়াজ ও মাংসের দাম চড়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২২
শসা-বেগুন-পেঁয়াজ ও মাংসের দাম চড়া

ঢাকা: রোজা উপলক্ষে গরুর মাংস, মুরগি, শসা, বেগুন, আদা ও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কমছে ডিমের দাম।

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

বিক্রেতারা বলছেন, রোজা উপলক্ষে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। রোজার মাসের মাঝখানে আবার দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শনিবার (২ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকার বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

রমজান মাসকে সামনে রেখে বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। এসব বাজারে শসার দাম বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। একদিন আগেও বাজারে শসা বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৮০ টাকা। একদিন আগেও বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ফুল কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, প্রতিকেজি করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার প্রতিকেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বরবটির কেজি ৮০ টাকা, সজনের কেজি ১৪০ টাকা, ধুন্দুলের কেজি ৬০ টাকা ও মটরশুটির কেজি ১২০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা নেওয়াজ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শসা, বেগুন ও কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। বাজারে সবজির সরবরাহ থাকলেও রমজান মাস উপলক্ষে পাইকাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। রমজানের দুই-তিনদিনের মধ্যেই আবার সবজির দাম কমবে। এ বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।  এ বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। আলুর কেজি ২০ টাকা। বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি।

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে  ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৮০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। দুই কেজির তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। বাজারে বেড়েছে চিনির দাম। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৪ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।

বাজারে কমেছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বাংলানিউজকে বলেন, রোজায় মানুষ ডিম কম খায় তাই ডিমের দাম কমেছে। আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

রোজা উপলক্ষে বাজারে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি ৯০০ টাকা।

১১ বাজারের মাংস বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে এ কারণে গরুর মাংস বেশি দামে বিক্রি করছি। আগে যখন দাম কম ছিল তখনও তো কম দামে বিক্রি করেছি।

বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা। একদিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ৩০০ টাকা কেজি। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, রোজা উপলক্ষে সিন্ডিকেটের কারণে মুরগির দাম বেড়েছে। রোজার মাসের মাঝখানে মুরগির দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২২
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।