ঢাকা: করোনা কারণে দুই বছর কঠিন সময় পার করেছে রাজধানীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায় টিকে থাকতে অনেকেই ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়েছেন।
শনিবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তাদের প্রত্যাশার কথাটা ব্যক্ত করেছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত দুই বছর আমাদের জীবনে ঈদের আনন্দ ছিল না। কোনমত দুই বেলা খেয়ে পরিবারকে দিন কাটিয়েছি। করোনা আমাদের জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। তবে পরিবেশ ভালো হয়েছে আশা করছি এ ঈদে কিছুটা হলেও ব্যবসা করতে পারবো বলে তারা জানিয়েছেন।
গত দুই বছর করোনার কারণে লকডাউনে রমজান মাসে কোন অর্ডার ছিল না। শুধু তাই নয় সারা বছর স্কুলে ড্রেসের কাজ করতাম সেটিও বন্ধ ছিল। অথচ লকডাউনেও দোকান ভাড়া গুলো নিয়মিত দিতে হয়েছে ধারদেনা করে বললেন মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় অবস্থিত শাপলা টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মনোয়ার হোসেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত দুই বছর করোনা আমাদের জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। আমার দীর্ঘ জীবনের ব্যবসায় এমন দুঃসময় কখনো আসেনি। ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য ঋণে জর্জরিত হয়ে গেছি। এবছর রমজানে মোটামুটি কাপড়ের অর্ডার আসছে। এটি অব্যাহত থাকলে কিছুটা ঋণ পরিশোধ করতে পারবো।
করোনা ও লকডাউনের কারণে বছরজুড়ে একেবারেই বেকার ছিলাম। ঋণ করে চলেছি। এখনও অনেক ঋণ রয়েছে বলে জানালেন মিরপুর বিআরটিএর উল্টো পাশে হোপ মার্কেটের সামনে ফুটপাতের জুতা ব্যবসায়ী মোঃ মানিক মিয়া। তিনি বলেন, করোনায় ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে খারাপ সময় গেছে। ঐসময়টায় আমাদের দিন না খেয়ে কেটেছে। তবে দিন ফেরার আশায় নতুন করে শুরু করেছি। এই ঈদে ব্যবসা করে কিছুটা ঋণ শোধ করতে পারবো বলে তিনি জানান।
বেচাকেনা মোটামুটি হচ্ছে, মানুষ আসছে, এ রকম আসতে থাকলে ঈদের দিন পর্যন্ত ভালোই মুনাফা হবে। পরিবার নিয়ে শান্তিতে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে পারবো বলে জানান মিরপুরের ১০ সেকশনের ফুটপাতে তৈরি পোশাক বিক্রেতা পলাশ।
তবে তিনি বলেন, আমাদের চাহিদা কম, যেটুকু বিক্রি হচ্ছে খারাপ না, এটা আরও বাড়বে। এবারের বেচাকেনা নিয়ে আমি আশাবাদী বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গত দুই বছর করোনার কারণে ঋণ করে সংসার চালিয়েছি। ঋণের বোঝা নিয়ে চলছি। এই ঈদে ব্যবসা করে কিছুটা হলেও ঋণ শোধ দিতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২২
এসএমএকে/এনএইচআর