ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদ বাজারে ক্রেতার আগ্রহ ‘কাঁচা বাদাম’ পোশাকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২২
ঈদ বাজারে ক্রেতার আগ্রহ ‘কাঁচা বাদাম’ পোশাকে কাঁচা বাদাম থ্রি-পিস দেখাচ্ছেন বিক্রেতা। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: দিন যত সামনে এগোচ্ছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় ততই ঘনিয়ে আসছে। আর রমজান শেষে এই ঈদের দিনে নতুন পোশাক পরিধানের নিয়মটা যেন বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে গেছে।

আর তাই অনেকটা করোনাশূন্য পরিস্থিতিতে চৈত্র শেষে বৈশাখী উৎসব এবং ঈদকে ঘিরে বরিশালের মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে আগেভাগেই ক্রেতাদের সমাগম বেড়েছে।

আর এরইমধ্যে নারী ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় পোশাক হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘কাঁচা বাদাম’ নামক থ্রি-পিস। ঈদ বাজারের শুরুতেই বরিশাল নগরের চকবাজার, কাঠপট্টি বিপণিবিতানগুলোতে এ পোশাকের বেচাবিক্রিও বেশ ভালোই হচ্ছে ।

ক্রেতারা বলছেন, পোশাকের কাটতি বাড়াতে স্থানীয়ভাবে ব্যবসায়ীরাই পোশাকের ওই নাম রেখেছেন।  অপরদিকে বিক্রেতারা জানান, ‘কাঁচা বাদাম’ থ্রি পিসের নামকরণ স্থানীয়ভাবে করা হয়নি।  এটি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থেকেই করা হয়েছে। ক্রেতারা নাম শুনেই দেখাতে বলছেন, আর পছন্দ হলে নিয়েও যাচ্ছেন।

তারা জানান, ‘কাঁচা বাদাম’ গান সম্প্রতি সময়ের বেশ জনপ্রিয়। আর এ গানের সঙ্গে কোন এক ইউটিউবার নৃত্য করেছিলেন, যা গোটা নেট দুনিয়াতে ভাইরালও হয়েছিল। আর সেই ইউটিউবারের থ্রি-পিস যে ডিজাইনের ছিল, সেই রকম ডিজাইনেই ‘কাঁচা বাদাম’ থ্রি-পিস তৈরি।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, লাল, নীল, সবুজসহ ছয় রঙের থ্রি পিস রয়েছে কাঁচা বাদামের। আর কাপড়ের প্রকারভেদে আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ থ্রি-পিসগুলো।

স্বদেশী বস্ত্রালয়ের তনয় সাহা জানান, এবারের ঈদ বাজারের শুরুতেই ‘কাঁচা বাদাম’ নামের এই পোশাকের চাহিদা বেশ ভালোই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রেতারা প্রতিনিয়ত নতুন পোশাক খুঁজতে থাকে, তাই এটি নতুন নামের পোশাক হওয়ায় ঈদ বাজারে প্রচুর বিক্রি হবে বলে মত তার।  

আর ১৫ রমজানের পর বরিশালের ঈদ বাজার পুরোপুরি জমজমাট হবে বলে আশাবাদী তিনি। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক গোবিন্দ সাহা জানান, ‘কাঁচা বাদাম’ থ্রি-পিসের পাশাপাশি এবার অরগাঞ্জা ও গোল্ড ড্রেস থ্রি পিসেরও চাহিদা রয়েছে। যেগুলো বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারেও শাড়ির চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাঁতের শাড়ি, ঢাকাইয়া জামদানি, কাতান, টাঙ্গাইলের সিল্ক শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে। তাঁতের শাড়ির মূল্য কিছুটা কম হলেও, বাকিগুলোর মূল্য ডিজাইন ভেদে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

এদিকে ক্রেতারা বলছেন, নাম যাই হোক না কেন থ্রি-পিসগুলো খারাপ নয়, হালের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে। তাই এটি ক্রয়ে আগ্রহীও রয়েছেন তারা।  

চকবাজারে মেয়ের জন্য পোশাক কিনতে আসা তাসলিমা বেগম বলেন, ঈদের আগে বরিশালের মার্কেটগুলোতে প্রচুর ভিড় থাকে। তাই মেয়েকে নিয়ে আগে ভাগে মার্কেটে এসেছি। যখন মেয়ে জানতে পেরেছে এবার ‘কাঁচা বাদাম’ নামের একটি পোশাক বাজারে এসেছে, তখন তার তাতেই আগ্রহটা বেশি। নামটি যারাই যে উদ্দেশ্যে রাখুক পোশাকটি খারাপ নয়, তাই মেয়েকে একটি কিনে দিয়েছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২২
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।