খুলনা: বৈশাখী খরতাপে পুড়ছে গোটা খুলনা। ঘরে-বাইরে কোথাও এতটুকু যেন স্বস্তি নেই।
গত দুই বছর করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে ছোট-বড় সব ব্যবসায়ী ক্ষতির মুখে পড়েন। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় অনেক ব্যবসায়ী নতুন করে বিনিয়োগ করেছেন।
বিক্রেতারা জানান, ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের আনাগোনা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পছন্দের পণ্যটি কেনার জন্য ক্রেতারাও এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে হন্যে হয়ে ছুটছেন।
সরেজমিনে নিউমার্কেট, রেলওয়ে বিপণিকেন্দ্র, জলিল সুপার মার্কেট, ডাক বাংলা সুপার মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, মশিউর রহমান মার্কেট ও রব সুপার মার্কেটসহ বেশ কিছু মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে জমজমাট বেচাকেনায় মগ্ন দোকানিরা। বিদেশি সারারা, ঘারারা ও লনের ওপর ক্রেতারদের নজর এবার বেশি। তবে অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেকে সুতির পোশাক কিনছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রেলওয়ে বিপণিকেন্দ্রের সারোয়ার, পাঞ্জাবি ঘরের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সাওকাত আলী সানোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, বিক্রি ভালো হচ্ছে। দিনেও বেচাকেনা হয় তবে সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় বেশি।
শিববাড়ির মোড়ের লুবান ফ্যাশন হাউজের বিক্রেতা ইমরান জানান, ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় বিক্রি ভালো হচ্ছে।
পোশাক কিনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন আবু মুছা নামের এক ক্রেতা। তিনি জানান, অনলাইনের কারণে পোশাকের দাম সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা হয়ে যাওয়ায় মার্কেটে বেশি দাম হাকাতে পারছে না দোকানিরা। যে কারণে পোশাকের দাম স্বাভাবিকভাবেই কিনতে পেরেছেন তিনি।
এদিকে পছন্দের পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে জুতা কিনতে ভিড় করছেন মানুষ নগরের জুতার দোকানগুলোতে। তাদের সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।
নগরের বিভিন্ন নামি দামি ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের পদাচারণায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ফুটপথের দোকানগুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২২
এমআরএম/আরবি