ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমদানি বন্ধের অজুহাতে পেঁয়াজের দাম দিয়ে স্বেচ্ছাচার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
আমদানি বন্ধের অজুহাতে পেঁয়াজের দাম দিয়ে স্বেচ্ছাচার ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। ৩৫ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।

আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বন্ধ থাকায় আর গত তিনদিনের বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর বাজার, কালশী বাজার ও ১২ নম্বর এলাকা ঘুরে এমন তথ্য জানা যায়।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের খুচরা ও পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়ে পাইকারিতে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা। আর বিভিন্ন এলাকার দোকানে খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

তিনি বলেন, পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় আর গত তিন দিনের বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। আবার আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম কমবে।

কালশী বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. জামাল বলেন, আমি একটু ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি করি। পাইকারি বাজার থেকে প্রতিকেজি ৩৮ টাকায় পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করছি ৪৫ টাকা।

তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৩২ টাকায় পেঁয়াজ কিনে ৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকার কথা শুনে ক্রেতারা বেশি বেশি পেঁয়াজ কিনতে শুরু করেছে। এতেও বাজারে সৃষ্টি হচ্ছে পেঁয়াজের সংকট।

পাইকারি বাজারে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও এখনো দাম বাড়েনি খুচরা দোকানে। খুচরা দোকানিরা বলছেন, দুই থেকে তিন দিন আগে কম দামে পেঁয়াজ কিনেছি। তাই কম দামেই বিক্রি করছি।  

মিরপুর ১২ নম্বর এলাকার ডেইলি মার্ট জেনারেল স্টোরের মালিক শাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারিতে বাড়তি দামে কিনতে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। যে পেঁয়াজ ২৩ টাকা দিয়ে কিনেছি তা কিনতে হয়েছে ২৭ টাকায়। আর দোকানে বিক্রি করছি ৩৫ কেজি। এছাড়াও উন্নতমানের পেঁয়াজ কিনছি ৩২ থাকে ৩৫ টাকায়। প্রতিকেজি বিক্রি করছি ৪০ টাকায়।

তিনি বলেন, আমি এক দিন আগে বাজারে থেকে পেঁয়াজ কিনেছি। আমি আগের দামেই বিক্রি করছি। বৃহস্পতিবার যারা বাজার থেকে পাইকারি দরে পেঁয়াজ এনেছেন যদি দাম বেড়ে থাকে তাহলে তারা বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।  

মিরপুর ১১ নম্বর রাবেতা ক্যাম্প এলাকার প্রিন্স জেনারেল স্টোরের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এখনো প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা বিক্রি করছি। দুদিন আগে পেঁয়াজ কিনেছি। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কিনা এখনো বলতে পারি না। আজকে যারা বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা তারা বাড়তি দামে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। আমার মনে হয় আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম আবার কমবে।

এর আগে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকার ওপরে উঠলে আবারও ভারত থেকে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। একইসঙ্গে আইপি বন্ধে পেঁয়াজের দামে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।