ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বেড়েছে পেঁয়াজ-ডিম-সবজি-মুরগির 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২২
দাম বেড়েছে পেঁয়াজ-ডিম-সবজি-মুরগির 

ঢাকা: বাজারে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, ডিম, সবজি ও মুরগির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (১৩ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, মটরশুঁটি ১২০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৫০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে ঈদের পরে সবজির চাহিদা বেড়েছে। রোজায় ক্রেতারা সবজি কম খেয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দামও বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে গত কয়দিনের বৃষ্টি।  

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়।  

বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু। আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ৩৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে।

১১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বাংলানিউজকে বলেন, মূলত আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া দাম বাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে গত কয়দিনের বৃষ্টি।  

এসব বাজারে চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন ৫০ টাকা। দেশি আদা ৮০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।

প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।  

এসব বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।  

ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, গত তিন দিনের বৃষ্টির কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। ঈদের পরে বাজারে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। ডিমের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়েছে।  

বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

এসব বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।  

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় খামারিরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। দাম বাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে গত তিন-চার দিনের বৃষ্টি। এছাড়া রয়েছে সিন্ডিকেটের প্রভাব।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২২
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।