বাগেরহাট: বাগেরহাটে ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ ও বিতরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ মে) বাগেরহাট শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনার কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং রুপালী ব্যাংক বাগেরহাট কর্পোরেট শাখার আয়োজনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক এস.এম হাসান রেজা। রুপালী ব্যাংকের খুলনা বিভাগীয় প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শেখ শাহরিয়ার রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, সোনালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক শেখ আল মামুন, জনতা ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মফিজুল ইসলাম, রুপালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মো. শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মূখ্য আঞ্চলিক পরিচালক এসএমএ কাইয়ুম অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক গোপাল চন্দ্র গাইন, বিসিকের উপ ব্যবস্থাপক শরিফ সরদার, রুপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মঞ্জুরুল ইসলামসহ বাগেরহাটে কাজ করা ১৭টি ব্যাংকের অর্ধশত কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া কর্মশালায় বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেন।
নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বলেন, বিভিন্ন সময় আমরা শুনেছি এবং প্রজ্ঞাপনও দেখেছি ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের জামানত বিহীন ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু আমরা নারীরা সে ধরনের কোনো সুবিধা পান না।
বাগেরহাটের কোনো নারী এ পর্যন্ত ৫ লাখ টাকার ওপরে বিনা জামানতে ঋণ পাননি। দেশ ও দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে ঋণ বিতরণে ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তার অগ্রাধিকার দিয়ে বিনা জামানতে ঋণ দেওয়ার দাবি জানান তারা।
উদ্যোক্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক এস.এম হাসান রেজা বলেন, উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে যেকোনো ব্যাংক সব সময় আন্তরিক থাকে। কিন্তু ঋণ দানের ক্ষেত্রে ব্যাংকের বেশকিছু নিয়মকানুন অনুসরণ ও কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। উদ্যোক্তারা যখন সেসবের ব্যবস্থা করতে পারেন না, তখন আমাদের পক্ষে ঋণ দেওয়া সম্ভব হয় না। এরপরেও বাগেরহাটসহ সারাদেশে নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে আমরা খুবই আন্তরিক।
বাংলাদেশ সময় ১৬১৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
এসআইএস