ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘স্বর্ণের মানোন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা

হলমার্ক দেখে সোনার গহনা কিনুন: বাজুস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
হলমার্ক দেখে সোনার গহনা কিনুন: বাজুস

ঢাকা: হলমার্ক দেখে মানসম্মত সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সংগঠনটি বলেছে, সঠিক মানের সোনার গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের এগিয়ে আসতে হবে।

এ লক্ষ্যে মান যাচাই করে ক্রেতাদের সোনার গহন কেনার অনুরোধ করেছেন বাজুস নেতারা।

বুধবার (১ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের লেভেল ১৯- এ বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট আয়োজিত ‘স্বর্ণের মানোন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।  

এতে সভাপতিত্ব করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে চেয়ারম্যান ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন।  

মতবিনিময় সভায় বাজুসের সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান বলেন, দেশে যেসব সোনার মান নিয়ন্ত্রণে ল্যাব রয়েছে, তা আরও উন্নত করা জরুরি। এ সব ল্যাব আধুনিকায়ন করতে হবে। হলমার্ক ছাড়া সোনার গহনা বিক্রি করা যাবে না।
 
বাজুসের সাবেক সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, যারা নিম্নমানের সোনার গহনা বিক্রি করছে, তাদের ওপর নজরদারি করতে হবে। বাজুসের একটি মনিটরিং ঠিম গঠন করে সোনার মানোন্নয়ন করতে হবে।

বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলিপ কুমার রায় বলেন, যে কোনো মূল্যে সোনার মান ঠিক করতে হবে। সোনার গহনার ক্রেতাদের ঠকানো যাবে না। দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ মানের গহনা বিক্রি করতে হবে।  

বাজুসের সাবেক সভাপতি ও সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন বলেন, এখন থেকে কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হলমার্ক ছাড়া সোনার গহনা বিক্রি করবেন না, আবার ক্রেতারাও কিনবেন না। সঠিক মানের সোনার গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। ক্রেতাদেরও মান যাচাই করে সোনার গহনা কেনার অনুরোধ করছি। এই খাতে প্রতারকদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে বাজুস।  

বাজুসের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, নিম্নমানের সোনার গহনা তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো চোরাকারবারির দায়িত্ব বাজুস নেবে না।  

বাজুসের সহ-সভাপতি এম এ হান্নান আজাদ বলেন, যেসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সোনার গহনা বিক্রি করে, তাদের আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশের বাজারে সোনার গহনার আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে।  

বাজুসের সহ-সভাপতি বাদল চন্দ্র রায় বলেন, কিছু কিছু জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে নিম্নমানের যেসব সোনার গহনা বিক্রি হয়, এটা বন্ধ করতে হবে।  

ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, হলমার্ক ছাড়া যেসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান সোনার গহনা বিক্রি করছে, তাদের শো-রুম পরিদর্শন করে, হলমার্ক যুক্ত গহনা বিক্রি করতে উৎসাহিত করতে হবে।  

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরওয়ালা, বাজুসের সহ-সম্পাদক সমিত ঘোষ, বাজুসের সহ-সম্পাদক ও সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে ভাইস চেয়ারম্যান বিধান মালাকার, বাজুসের সহ-সম্পাদক জয়নাল আবেদিন খোকন ও লিটন হাওলাদার, বাজুসের কোষাধ্যক্ষ উত্তম বণিক, বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বাবুল মিয়া, পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, রিপনুল হাসান ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে সদস্য সচিব ইকবাল উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২২
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।