নাটোর: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিকে বাণিজ্যিকরণ করতে চায় সরকার। কারণ, কৃষির উৎপাদন যেন শুধুমাত্র কৃষকের খাদ্য চাহিদা পূরণে নয়, অর্থকরী ফসলে পরিণত হয়।
বুধবার (১ জুন) দিনগত রাতে নাটোরে একটি কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, চলতি মৌসুমে দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধানের উৎপাদন হয়েছে। এখন ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। এ কারণে জমির সবোর্ত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।
তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের মূল্য বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে দেশের ব্যবসায়ীরা ধান মজুদ করেছেন। তবে অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ইতোমধ্যে অভিযানও শুরু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে এখন তামাক কোম্পানিগুলোও চাল মজুদ করে প্যাকেটজাত করছে। অনেক দামে তারা চাল বিক্রি করছে। তারা মনে করছে, দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে এ কারণে এ কাজটি করছে। এ প্রবনতা রোধ করা দরকার। এজন্য সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীসহ সবাইকে এ কাজে এগিয়ে আসতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে কৃষিকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সারে বিপুল ভর্তুকি প্রদান, কৃষকদের প্রণোদনা প্রদান, গবেষণা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে উন্নত বীজ উদ্ভাবন, কৃষকদের জন্যে সার ও বীজ সহজলভ্য করা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এসব পদক্ষেপের সুফল হিসেবে ৭ কোটি জনগোষ্ঠির দেশে জনসংখ্যা ১৭ কোটি হলেও দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোর-২ (নাটোর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ (লালপুর ও বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২২
এসআরএস
