ঢাকা: জাতীয় গ্রিড ফেল করায় দুপুর থেকেই দেশের ৪টি বিভাগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখার সময় কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সেবা স্বাভাবিক থাকলেও, আঁধারে রয়েছে অধিকাংশ এলাকা।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর দুইটার দিকে এ বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। এর ফলে জরুরি সেবা থেকে শুরু করে বিমানবন্দর পর্যন্ত সেবা ব্যাহত হয়। এই ফাঁকে আঁধারে ঢাকা পড়া ঢাকার বিভিন্ন মুদি দোকানে মোমবাতি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই সুযোগে মোমবাতির দাম কয়েকগুণ বেড়েছেন মুদি দোকানিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দোকান ও এলাকাভেদে ৫ টাকার মোমবাতি ২০ টাকা, ১০ টাকার মোমবাতি ৩০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানতে চাইলে নিকেতন বাজার গেট এলাকার বাসিন্দা তানভীরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কথা জানতাম না। ফোনে চার্জ নেই। এই মুহূর্তে মোমবাতি কিনতে বেরিয়ে দেখি দোকানে হুলস্থুল পড়ে গেছে। কোনো দোকানে মোমবাতি নেই। কোনো কোনো দোকানে থাকলেও তা ৫ থেকে ১০ টাকার প্রতি পিস মোমবাতি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা!
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর এলাকার বাসিন্দা বাংলানিউজের প্রতিবেদক মিরাজ মাহবুব ইফতি বলেন, আমি কালশী এলাকায় গিয়েছিলাম। কালশী রোডের দোকানি মো. কচি জানান দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় আমার দোকানের ১০ টাকা দামের কোনো মোমবাতি নেই। যা ছিল সব বিক্রি হয়ে গেছে। অল্প কিছু এখনও অবশিষ্ট আছে। তবে, কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে৷
বেশি দাম কেনো রাখছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বাড্ডা এলাকার মুদি দোকানি শফিউল আলম বলেন, মোমবাতি তো এমনিতে বিক্রি হয় না। আজ সবাই চাচ্ছে। ৫ থেকে ১০ টাকা এখন তো কোনো টাকা না। ঝামেলা কইরেন না ভাই।
এদিকে মহাখালী, সাইন্সল্যাবসহ কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমন তথ্যই মিলেছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সঙ্গে ভিড় দেখা গেছে খাবারের দোকানগুলোতেও।
এদিকে চিকিৎসা সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে সরবরাহ স্বাভাবিক হতে অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২২
এমকে/এএটি