ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘গ্যাস সরবরাহ ঠিক হলে চিনির উৎপাদন স্বাভাবিক হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২২
‘গ্যাস সরবরাহ ঠিক হলে চিনির উৎপাদন স্বাভাবিক হবে’

ঢাকা: গ্যাস সরবরাহ ঠিক হলে চিনির উৎপাদন স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

টিপু মুনশী বলেন, আশা করি দু-একদিনের মধ্যে গ্যাসের সাপ্লাই স্বাভাবিক হলে যে পরিমাণ চিনি দরকার তা উৎপাদন সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, চিনি নিয়ে নেতিবাচক প্রভাব দেখছি না, চিনিটা অ্যাভেলেবল। জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় চিনির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যে সমস্যা পেয়েছি সেটি হলো গ্যাসের সাপ্লাই অপ্রতুলতার কারণে ৬৬ শতাংশের বেশি চিনি উৎপাদন করতে পারছে না।  

মন্ত্রী বলেন, চিনির সাপ্লাইটা ঠিকভাবে হওয়া দরকার। সরবরাহ ধীরগতি হলে সমস্যা। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সে দামে বিক্রি করা যাবে।

টিপু মনাশী বলেন, অনেক চিনি গুদামে পড়ে আছে, সেটা প্রসেস করতে পারলে বাজারে আসবে। গ্যাসের সমস্যা সমাধান হলে এটি প্রসেস করা যাবে। যারা গ্যাসের বিষয়টি দেখে তারা বলছে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটছে। বিদ্যুতের অবস্থা ইমপ্রুভ করবে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিদিনের চাহিদা হচ্ছে সাত হাজার টন। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে পাঁচ হাজার টন। আমরা আশাবাদী গ্যাসের সরবরাহ যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে উৎপাদন আমাদের যে লক্ষ্য অবস্থায় যেতে পারবো, যা দরকার তা আমাদের হবে। বিশ্ব বাজারে একই অবস্থা চলছে।  

চিনির দামের ওপর প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্যাস সরবরাহ বাড়লে দামে প্রভাব পড়বে, কী পড়বে না সেটা থেকে বড় কথা হলো সরবরাহ বাড়বে। আমরা ভোক্তা অধিকার দিয়ে চেষ্টা করছি নির্ধারিত দাম ৯৫ টাকায় বিক্রির। তবে ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্য থেকে বেশি দাম নিচ্ছে। আমরা ভয় পাচ্ছি ৯৫ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে সেটা, ভয় হচ্ছে সরবরাহটা যদি ধীরগতি হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা আরও সুযোগ নিতে পারে। ফলে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে উৎপাদন বাড়বে। যখন বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ হবে তখন ব্যবসায়ীরা এ সুযোগটা নিতে পারবে না। যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সে দামে ভোক্তারা পাবে।

বাজার ব্যবস্থাপনায় কোনো ত্রুটি আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাজারে সরবরাহ যদি কম থাকে তাহলে ম্যানেজমেন্ট করেতো সরবরাহ বাড়ানো যাবে না। আসলে আমাদের সরবরাহের ওপর নির্ভর করতে হয়। আমাদের গুদামে চিনি পড়ে আছে যেটা প্রসেস করতে হবে। সেখানে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের জন্য পারছে না। সে জায়গাগুলো যদি সমাধান করতে পারি তাহলে সমস্যা থাকবে না, আমরা নির্ধারিত দামে দিতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২২
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।