ঢাকা: ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে খরচ হবে ৬৫ কোটি ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩৭ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি জানান, আজকের বৈঠকে দুটি প্রস্তাব টেবিলে উত্থাপিত হয়। এরমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার কেনার একটি প্রস্তাব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিনি আমদানির একটি প্রস্তাব রয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ব্রাজিল থেকে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন চিনি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে খরচ হবে ৬৫ লাখ ৫২ হাজার ৬২৫ মার্কিন ডলার।
যা বাংলাদেশি টাকায় ৬৫ কোটি ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩৭ টাকা। প্রতিটন চিনির দাম পড়বে ৫২৪ মার্কিন ডলার।
৩ নভেম্বর জানানো হয়, টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার। এতে খরচ হবে ৮৯ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতিকেজি সয়াবিনের দাম পড়বে ১৬২ দশমিক ৯৪ টাকা। যা আগে ছিল ১৭১ দশমিক ৮৫ টাকা।
এর আগে টিসিবির জন্য সরকার ৬৮ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন মুসুর ডাল ও ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ঢাকা মেঘনা ভোজ্য তেল শোধনাগার লিমিটেড কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনার অনুমোদন দিয়েছে।
টিসিবি সূত্রে জানা যায়, ফ্যামিলি বা পরিবার কার্ডের আওতায় একজন কার্ডধারীর কাছে সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে সংস্থাটি। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, ১ কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা ও টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়-সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
জিসিজি/এসআইএস