ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সুফল সবাই পায়নি: সানেম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সুফল সবাই পায়নি: সানেম

ঢাকা: মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সুফল সবাই পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বাড়ার যে তথ্য সরকার জানিয়েছে, তার সুফল সবাই পায়নি।

এই সময়ে স্বল্প আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি: উদ্বেগের জায়গা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে তিনি  এ কথা বলেন।

সেলিম রায়হান বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটে স্বল্প আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। তাদের খাদ্যতালিকা থেকে মাছ-মাংস বাদ দিতে হচ্ছে। তবে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ ডলার হলে মাছ-মাংস কীভাবে বিলাসী পণ্য হয়?

উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও প্রকৃত মজুরি কমে যাওয়ায় খাদ্যনিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকার ঘোষিত মূল্যস্ফীতির তথ্যের সমালোচনা করে সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে সাড়ে ৯ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে মূল্যস্ফীতি আরও বেশি। এটা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে—এমন বিতর্কও আছে।

সংকট উত্তরণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়িয়ে স্বল্প মেয়াদে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেন সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, কারণ, অনেকেই নতুন করে খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়বে।

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ওপর ধারাবাহিক জরিপ করেছে সানেম। সেই ফলাফল তুলে ধরে সেলিম রায়হান বলেন, পোশাক শ্রমিকদের খাদ্যনিরাপত্তার সূচক নিম্নমুখী। তার মানে শ্রমিক ও তার সন্তানেরা আগের চেয়ে কম খাবার খাচ্ছে। শ্রমিকদের মাসিক মজুরিও কমেছে। ক্রয় আদেশ কমে যাওয়ার কারণে শ্রমিকের কর্মঘণ্টা কমেছে।

সামনের দিনে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে সুখবর নেই বলে উল্লেখ করে সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, পণ্য আমদানির ঋণপত্র কমেছে। তার মধ্যে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানি কমে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান কমবে।

দেশে দুর্ভিক্ষের কোনো শঙ্কা নেই, দুর্ভিক্ষের কথা বেশি উচ্চারণ না করার তাগিদ দিয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এই কথা বেশি বললে মানুষ আতঙ্কিত হবে। স্বার্থান্বেষীরা এর সুযোগ নিতে পারে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে টালমাটাল বিশ্বে খাদ্য সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ডব্লিউএফপি দেশে দেশে সংকটের আশঙ্কা করছে, এমনকি দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাসও আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নানা সময় বিশ্বে দুর্ভিক্ষ আসছে জানিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন, যেটি নিয়ে রাজনৈতিক বাদানুবাদ চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।