ঢাকা: বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কর্মীদের পুষ্টির অবস্থা উন্নত করতে ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সমন্বিত প্রচেষ্টা ও গণসচেতনতার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ঢাকায় গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) এবং আউচান ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শ্রমিক অদক্ষতার একটি প্রধানতম কারণ হচ্ছে, বিশেষ করে নারীদের অপর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ। শ্রমিকদের জন্য পুষ্টিকর এবং নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা হলে তারা ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হবে এবং কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সক্ষম হবে।
তিনি মন্তব্য করেন, পুষ্টিগত মূল্যের দিক থেকে কোন খাদ্যগুলো উত্তম, সে বিষয়ে সব সময় পোশাক কর্মীদের মধ্যে যথাযথ জ্ঞান থাকে না, তাই তাদের মধ্যে পুষ্টিকর খাদ্য এবং এসব খাদ্য গ্রহণের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, এনডিসি, বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ-এর সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, আউচান ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার জুলিয়েট বাটাইলে, আউচান ফাউন্ডেশনের জেনারেল ডেলিগেট অ্যালাইন রেনার্স এবং গেইন-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার বক্তব্য রাখেন।
ফারুক হাসান তার বক্তব্যে বলেন, আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক সিএসআর কার্যক্রমের বাইরেও বাংলাদেশের অনেক পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ স্ব-উদ্যোগী হয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে অনেক প্রশংনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগগুলোর মধ্যে একটি হল ন্যায্যমূল্যের দোকান, যেখানে শ্রমিকদের জন্য দৈনন্দিন পণ্যগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় করা হয়।
তিনি আরও বলেন, যদি শ্রমিকদেরকে পুষ্টিগুন সম্পন্ন খাদ্য ক্রয়ের বিষয়ে সচেতন করা হয়, তাহলে তা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।
ফারুক হাসান বলেন, স্বতন্ত্র কারখানাগুলোর উদ্যোগের পাশাপাশি, সাশ্রয়ী মূল্যে পোশাক শ্রমিকদের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য পোশাক খাতের সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
এমকে/এসএ