ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাজশাহীতে বছরের প্রথম দিনে বই উৎসব নিয়ে শঙ্কা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
রাজশাহীতে বছরের প্রথম দিনে বই উৎসব নিয়ে শঙ্কা

রাজশাহী: ক’দিন পরেই আসছে নতুন বছর। নতুন বছর মানেই শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বইয়ের মেলা।

কিন্তু এবার রাজশাহীতে বছরের প্রথম দিনে বই উৎসব নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। অস্বাভাবিকভাবে কাগজের দাম বাড়ায় পিছিয়ে গেছে বই ছাপানোর কাজ। তাই রাজশাহীতে চাহিদার ৭০ শতাংশ বই এখনও আসেনি বলে জানা গেছে।

এ বছর রাজশাহীতে মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ে বইয়ের চাহিদা ৪৫ লাখ ২১ হাজার। তবে এখন পর্যন্ত বই এসেছে মাত্র ৩০ শতাংশ। গত বছর বই উৎসবের আগে মাধ্যমিক পর্যায়ে বই এসেছিল চাহিদার অর্ধেক। এবারও ঠিক সময়ে পুরোপুরি আসবে কিনা, তা নিয়ে এরই মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রাজশাহী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে রাজশাহী জেলায় সম্ভাব্য শিক্ষার্থী ধরা হয়েছে মোট তিন লাখ ৩১ হাজার ১৮০ জন। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে দুই লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন, মাদ্রাসার দাখিল পর্যায়ে ৪০ হাজার ৯৬০ জন, এবতেদায়িতে ৪৮ হাজার ৮৭০ জন, এসএসসি ভোকেশনালে ১৪ হাজার ৪০ জন এবং ইংরেজি ভার্সনে ৮৪০ জন শিক্ষার্থী।

এই শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৪৫ লাখ ২১ হাজার ৪৩টি পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিকে ৩২ লাখ ৭০ হাজার ৬৮০, মাদ্রাসার ছয় লাখ ৩২ হাজার ৯৪৫, এবতেদায়িতে তিন লাখ ৫৩ হাজার ২৯০, এসএসসি ভোকেশনালে দুই লাখ ৫২ হাজার ৮৪৮ এবং ইংরেজি ভার্সনের জন্য ১১ হাজার ২৮০টি বই চাওয়া হয়েছে। তবে এই বিশাল চাহিদার বিপরীতে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ বই পৌঁছেছে।

এদিকে মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণীর পাইলটিং শুরু হচ্ছে। এজন্য নতুন সিলেবাসও প্রণয়ন করেছে এনসিটিবি। রাজশাহী মহানগরীর পিএন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোদাগাড়ী উপজেলার আফজি উচ্চ বিদ্যালয় ও দুর্গাপুর উপজেলার আমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়কে পাইলটিং প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। নতুন কারিকুলামে প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ধর্মশিক্ষাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং শিল্পকলা বিষয় থাকবে। আর মাধ্যমিক স্তরে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের পাশাপাশি জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি,সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়েও শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে শ্রেণীকক্ষে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৬০ শতাংশ। আর সামষ্টিক মূল্যায়ন ৪০ শতাংশ। এছাড়া জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতিতে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ।

শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর সবাইকে পড়তে হবে ১০টি বিষয়। দশম শ্রেণীর পাঠ্যসূচির ওপরই অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। তবে নবম ও দশম শ্রেণীতে জীবন ও জীবিকা বিষয়ে বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যেক শিক্ষার্থী কৃষি, সেবা বা শিল্পখাতের একটি অকুপেশনে দক্ষতা অর্জন করবে এবং দশম শ্রেণী শেষে যে কোনো একটি পেশায় কাজ করার মতো পেশাদারি দক্ষতা অর্জন করবে।

জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো বই পাইনি। তবে এ নিয়ে এখনই দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ডিসেম্বরের মধ্যেই সব বই চলে আসবে বলে আমরা আশা করছি। প্রতিবছরের মতো বছরের পহেলা জানুিয়ারিতেই বই উৎসব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই শিক্ষা কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।