রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : চাঁদা আদায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগ ও স্থানীয় যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই যুবলীগ কর্মী রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে শিবির নেতাকর্মীদের কাস ও পরীক্ষার সুযোগ করে দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি নিয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপুর সঙ্গে আলোচনার জন্য শহিদুল ইসলাম ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বরে যান। সেসময় শহিদের সাথে তার ভাই রবি, সোহাগ এবং সাত্তারসহ ১০/১২ জন তার সাথে ছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং পরবর্তীতে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে আহত হন উভয়পক্ষের ১০ নেতা-কর্মী।
আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী ফারদিন, তাকিম, রাঞ্জু, ইমদাদ এবং যুবলীগ কর্মী সোহাগকে তাৎণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংঘর্ষের খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন আবাসিক হলের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা থেকে অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে।
যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করে বিনোদপুর এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানে তারা একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় স্থানীয়রা ৫/৬ জন সাধারণ ছাত্রকে মারধর করে বলে প্রত্যদর্শীরা জানান।
বেলা আড়াই টার দিকে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান ও মিজানুর রহমান ব্যক্তিগত কাজে ক্যাম্পাসে আসলে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদেরকে ছিনতাইকারী বলে বেধড়ক মারধর করে। পরে ক্যাম্পাসে দায়িত্বরত পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে মতিহার থানায় নিয়ে যায়।
প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে বিােভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদসহ যুবলীগ নেতাকর্মীদের প্রতিহতের ঘোঘণা দেয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি আওয়াল কবির জয় বিকেল ৫টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি-কে জানান, যুবলীগ নেতা শহিদ, তার ভাই রবিসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী টাকার বিনিময়ে শিবির নেতা-কর্মীদের ক্যাম্পাসে ঢোতার সুযোগ দিয়ে আসছিলেন। ্এর প্রতিবাদ করায় তারা আজ আমাদের ওপর হামলা চালায়।
তবে শহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী এসব কাজের সাথে জড়িত। আজ আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চৌধুরী মোহম্মদ জাকারিয়া বলেছেন, বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।
ঘটনার পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ক্যাম্পাস এবং পাশ্ববর্তী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের।
বাংলাদেশ সময় ১৭৫৩ ঘণ্টা, ২৬ জুন ২০১০
প্রতিনিধি/এএইচএস