মেহেরপুর: ডিসেম্বর মাসের আর মাত্র ৬ দিন বাকি। ১ জানুয়ারি দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের বই উৎসব হওয়ার কথা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মেহেরপুরের জন্য ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৫৬ বইয়ের চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির জন্য ৪৩ হাজার ৩৮৬টি, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ৪৩ হাজার ১৩৭টি, তৃতীয় শ্রেণির জন্য ৮৩ হাজার ৪৫৪টি, চতুর্থ শ্রেণির জন্য ৮৫ হাজার ৫০টি এবং পঞ্চম শ্রেণির জন্য ৮১ হাজার ১৩৮টি বই।
এছাড়া প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির জন্য ১২ হাজার ৯৪১টি আমার বইয়ের চাহিদা দেয়া হলেও সেগুলোও এখনো এসে পৌঁছায়নি। শুধুমাত্র প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য চাওয়া ১২ হাজার ৯৪১টি অনুশীলন খাতা পৌঁছেছে।
সূত্র আরও জানায়, ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা থেকে পাঠানো চাহিদাপত্রের একটিও নতুন বই পাওয়া যায়নি। উদ্বেগ জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার চিঠি লিখেও কোনো উত্তর পাননি শিক্ষা অফিস।
আগামী ১ জানুয়ারি সারা দেশে নতুন বছরের প্রথম দিনে বই উৎসব শুরু হওয়ার কথা। শিক্ষার্থীরা দিনটিকে নতুনভাবে পালন করে থাকে। নতুন বছরের আর মাত্র ৫ দিন বাকি রয়েছে। এখন পর্যন্ত মেহেরপুর জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো বই আসেনি।
জেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা ভবেশ রঞ্জন রায় বলেন, অন্যান্য বছর ডিসেম্বরেই অধিকাংশ বই চলে আসে। চলতি বছরের আর মাত্র ৫ দিন আছে। এরপর ১ জানুয়ারি বই উৎসব হওয়ার কথা। কিন্তু ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো ক্লাসের বই এসে পৌঁছায়নি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বছরের প্রথম দিনেই প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। আগামী ১ তারিখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসেম আলী বলেন, ১ জানুয়ারী শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে সেই আশায় রয়েছে। বছরের প্রথম দিনে নতুন বইয়ের সুবাসে তারা বই উৎসব পালন করে থাকে। এই দিনে নতুন বই না পেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হতে পারে।
মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভবেশ রঞ্জন রায় বলেন বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে বারবার জানানোর পরও এখন পর্যন্ত নতুন বই পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর, ২০২২
এমএমজেড