ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় অধিকতর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সেমিনার কক্ষে ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বাস্তুচ্যুতদের স্থানীয়ভাবে অভিযোজনের জন্য টেকসই জীবিকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের ওপর এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
সেমিনারে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুন নাহার হেনা, প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম নাজেম, প্রকল্পের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বক্তব্য দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা এবং দেশকে একটি সবুজ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জাতির পিতা অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সেই পথ ধরে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ সপ্তম স্থানে রয়েছে। আমরা শুধু নিজেদের কথা না ভেবে বাকি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সমস্যার কথা বলে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও শিল্প সাহিত্য বিলীন হতে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম বাধা, টেকসই উন্নয়নে অন্যতম হুমকি। দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।
অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ইতিহাস অনেক পুরোনো। এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল ১৯৪৩ সালে ও ১৯৭০ সালে। যে বছর তৎকালীন পাকিস্তানের সর্বপ্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সে বছর বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই আমাদের কোনটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কোনটি জলবায়ু পরিবর্তন সে বিষয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
এসকেবি/আরবি