ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

ইবির জিয়া হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ, নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
ইবির জিয়া হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ, নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিল পাঠান।

ইবি: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুনজুরুল হক পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর হলটিতে নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিল পাঠান।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তিন দিন আগে অধ্যাপক ড. মুনজুরুল হকের স্বেচ্ছায় অব্যাহতিপত্র আমরা হাতে পাই। যেখানে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে প্রভোস্টের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। প্রশাসন উনার অব্যাহতিপত্র গ্রহণ করে তার স্থলে নতুন নিয়োগ দিয়েছে। নতুন প্রভোস্ট আব্দুল জলিল পাঠানকে উপাচার্য মহোদয় সাময়িকভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি নিয়মানুযায়ী সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

অব্যাহতির বিষয়ে অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে হলে সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এ পরিস্থিতিতে আমি গত এক সপ্তাহ আগে প্রশাসন বরাবর অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি।
জানা যায়, রোববার (২৯ জানুয়ারি) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হককে ‘মৃত’ ঘোষণা করে হলের দেয়ালে পোস্টার সাঁটিয়েছেন হলের শিক্ষার্থীরা। হলের নানা সমস্যা নিয়ে তাকে বারবার বলার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এরকম পোস্টার সাঁটানো হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

পোস্টারে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রভোস্ট স্যারের অকাল মৃত্যুতে আমরা জিয়া হলবাসী গভীরভাবে শোকাহত। ’

এর আগে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১০০ টাকা নেওয়াসহ হলের নানা সমস্যা সমাধানে দুপুর দেড়টার দিকে আন্দোলন শুরু করেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা হল কর্মকর্তাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে হলে একজন বিনা বেতনে কাজ করেন এবং তার জন্য এই অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রভোস্ট কার্যালয়ে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় হলের একজন কর্মকর্তা এবং দুইজন হাউজ টিউটর অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আন্দোলন চলাকালীন প্রভোস্টকে কল দিলে তিনি আসবেন না জানালে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অধ্যাপক ড. মনজুরুল হককে ‘মৃত’ ঘোষণা করে পোস্টার সাঁটিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
পরে সন্ধ্যার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি হলে উপস্থিত হয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।