ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষা-গবেষণায় মনোনিবেশ করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি মির্জা আজমের আহ্বান

বশেফমুবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
শিক্ষা-গবেষণায় মনোনিবেশ করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি মির্জা আজমের আহ্বান

দেশের কল্যাণে শিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করার পাশাপাশি নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আজম।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বশেফমুবিপ্রবির ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠতে হবে। কারণ তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করবে। তাই নীতি নৈতিকতা নিয়ে বেড়ে ওঠার পাশাপাশি স্বদেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিঃস্বার্থ চিত্তে মানব কল্যাণে নিবেদিত হতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এবং মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বাঙালির স্বপ্নজয়ের সারথি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সুদীর্ঘ ইতিহাস ও একটি মহৎ উদ্দেশ্য আছে। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এখানকার প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দেশের কল্যাণে শিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করার পাশাপাশি নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠতে হবে। যারা আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুল আলম খান। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি যুগোপযোগী, মানসম্মত ও আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানরূপে গড়ে তোলার বিষয়ে নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

এর আগে দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট প্রদক্ষিণ করে ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও বশেফমুবিপ্রবি পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা ওড়ানোর মাধ্যমে ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও নবীন বরণ আয়োজনের আনুষ্ঠিকতা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করা হয়।

সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জাতীয় চার নেতা, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শাহাদাৎবরণকারী এবং ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার জনাব মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব বিজন কুমার চন্দ, মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান, জামালপুর পৌরসভার মেয়র জনাব মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু, মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র জনাব মো. শফিক জাহেদী রবিন, মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও সাধারণ সম্পাদক জনাব মো. জিন্নাহ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক জনাব এস. এম. ইউসুফ আলী, ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক  ড. আব্দুস ছাত্তার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জা মো. আব্দুল হালিম, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি জনাব মো. আব্দুল মান্নান।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।