শাবিপ্রবি (সিলেট): যখন বিভিন্ন সেক্টরের দুর্নীতি দেখি, তখন আমি অনেক কষ্ট পাই, দুঃখ পাই। বিশেষ করে ব্যাংকিং সেক্টরে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে ‘দুর্নীতি দমনে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার হলো হাজার হাজার কোটি টাকা লুুট করে, এদেশের টাকা আরেক দেশে চলে যাচ্ছে। এই টাকাটা যদি দেশের মধ্যে থাকে তাহলে ১০ টাকা দিয়ে ১০০ টাকার কাজ করা যাবে। দুর্নীতির কাজে ব্যাংকের এমডি হতে শুরু করে যারা জড়িত আছে তাদেরকে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যেতো, তখন তারা আর জীবনেও এই কাজ করতো না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখছেন বিখ্যাত সব লোকজন আমি নাম বলবো না, তারা দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় করেছে। তাদের চলে যেতে হয়েছে, আমাদেরকেও চলে যেতে হবে। তাহলে দুর্নীতি করে কার জন্য? আমি কি ভোগ করতে পারব? আমাদের ওপরে যত ধরণের চাপ আসুক, আমরা ওই চাপ সহ্য করব। আমরা এ জায়গাতে আপোষ করব না। কারণ মানুষের মৃত্যু কিন্তু একবারই আর কাপুরুষরা বারবার মরে।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পুরো দেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় বাঁধা হল দুর্নীতি। আমাদের যে বাজেট বরাদ্ধ আছে কিছু ক্ষেত্রে আমরা চার ভাগের একভাগও আমরা খরচ করতে পারি না। দুর্ভাগ্যক্রমে সরকারি যে কোনো দপ্তরে আপনি যাবেন, সেখানেও টাকা ছাড়া কোনো জায়গায় কাজ করা মুশকিল। এটা তাদের জন্য রাইট হয়ে গেছে। আগে আড়ালে আবডালে ঘুষ খেতো, এখন প্রকাশ্যে খাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তো সারাদেশের দায়িত্ব নিতে পারব না। আমাদের ছোট্ট একটা বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে যেন আমরা সবাই মিলে দুর্নীতিমুক্ত থাকি এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে কাজটা করি, আপনি আপনার জায়গা থেকে শুরু করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, দুদকের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক এসএম মফিদুল ইসলাম, শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানরা, দপ্তর প্রধানরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এসএম