ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষা ও গবেষণায় শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হবে ববি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
শিক্ষা ও গবেষণায় শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হবে ববি ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন

বরিশাল: দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) দিবস আজ (২২ ফেব্রুয়ারি)। নানান চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে যুগপূর্তিতে পড়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

 

১৯৭৩ সালে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বরিশালে একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন, আর সেই ঘোষণাকে বাস্তবে পরিণত করার লক্ষ্যে ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা সদর উপজেলার কর্ণকাঠীতে ৫০ একর জমিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরের বছর ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি বরিশাল জিলা স্কুলের একটি ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাস কার্যক্রমের শুভ সূচনা ঘটে।

প্রতিষ্ঠাকালীন ৪টি অনুষদের অধীনে ৬টি বিভাগের ৪০০ শিক্ষার্থীর এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৬টি অনুষদের অধীনে ২৫টি বিভাগে প্রায় ৯ হাজার ১শত শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছেন। এছাড়া ১৯৯ জন শিক্ষক, ১১৬ জন কর্মকর্তা এবং ১৪৪ জন কর্মচারীর সমন্বয়ে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়টি দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরির কারিগর হিসেবে জ্ঞানের আলো বিলিয়ে যাচ্ছে।

যুগপূর্তি উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় ও বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বাংলানিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আগামীতে শিক্ষা, গবেষণা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের সমন্বয়ে দেশের অন্যতম শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রত্যাশার কথায় তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় আরও গতিশীল হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে অনন্য স্থানে পরিচিতি লাভ করবে।

তিনি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নবীন হলেও শিক্ষকেদর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কারণ ভালো ফলাফল হচ্ছে।  

তিনি বলেন, উপাচার্য হিসেবে যোগদানের জন্য প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলাম সেশন জট কমানোর জন্য এবং শিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করার। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখন প্রায় ক্ষেত্রেই সেশনজট মুক্ত হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রমগুলো চলমান রাখার পাশাপাশি দেশের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের আমাদের কিছু বিভাগে সংযুক্ত করে পাঠদানের ব্যবস্থা করেছি।

আমার আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক সংস্কার করা এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘসময় পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা ৪৬ জন শিক্ষক সহকারী থেকে সহযোগী অধ্যাপক হয়েছেন আমার সময়েই। সমস্ত কর্মকর্তা যারা দীর্ঘ ৭-৮ বছর ধরে অস্থায়ী ছিলেন তাদের নিয়মিত করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের কাজ সম্পন্ন করে তা উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ৩টি যানবাহন যুক্ত করা হয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে প্রায় ৫০০ আসনের ছাত্রী নিবাসটির কাজ শেষ হয়েছে।

এছাড়া মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী- অর্জন ও সম্ভাবনা' শীর্ষক স্মারক সংকলন প্রকাশ, অ্যাকাডেমিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদ থেকে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে।  

যুগপূর্তিতে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে গবেষণা এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে। এরমধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।

শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গতিশীল রাখতে  নিজ নিজ জায়গায় থেকে ঐকান্তিক ভূমিকা রাখবেন আপনারা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এমএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।