ঢাকা, শনিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ জুন ২০২৪, ১৪ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

আবারও ডাকা হতে পারে ইবির ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীদের 

ইবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
আবারও ডাকা হতে পারে ইবির ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীদের 

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হলে র‍্যাগিংয়ের নামে ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগীদের হাতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটির পর্যালোচনা চলছে।  

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলের কক্ষে অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে এ আলোচনা শুরু হয়।

 

তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা এ তথ্য জানিয়েছেন।  

এ সময় তিনি বলেন, আমরা ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও শেখ হাসিনা হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য নিয়েছি। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আমরা পর্যালোচনায় বসেছি। অধিকতর তদন্তের জন্য প্রয়োজনে আবার ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের ডাকা হতে পারে।

পর্যালোচনায় পাঁচ সদস্যদের কমিটির মধ্যে উপস্থিত আছেন প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষের শর্মা, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম ও সদস্য সচিব একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবদ্দীন খান।

এর আগে, বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের কার্যালয়ে ভুক্তভোগী ফুলপরী ও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরা ও তার ৪ সহযোগীকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা ফুলপরীর কাচ্ছে কান্নাকাটি করে বলেন 'তোমার হাতে-পায়ে ধরে বলছি, আমাদের মাফ করে দাও'।

জানা যায়, বুধবার পর্যন্ত টানা তিনদিন বিভিন্ন পর্যায়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ছাত্রীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে তদন্ত কমিটি। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ঘটনার রাতে হলে অবস্থানরত প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়াদের সঙ্গে কথা বলেন কমিটির সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় তিনটা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতন করা হয় নবীন ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে। ভুক্তভোগী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা ওই ছাত্রীকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখে।

১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয় পেয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী ছাত্রী। র‌্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হল প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত দেন তিনি।  

বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়েন অভিযুক্তরা।   

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।