জাবি: মুক্তবুদ্ধি ও মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার চারণক্ষেত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী। প্রায় প্রতিদিনই নাটক, কবিতা পাঠের আসর, সংগীতানুষ্ঠান, বির্তক, সেমিনারসহ সাংস্কৃতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ৭টায় সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে কাওয়ালি গানের এ আসর বসে। জলসিঁড়ির ১৬ জন সদস্য বাংলা, হিন্দি ও উর্দু এ তিন ধরনের কাওয়ালি গান পরিবেশন করেন। এসময় কাওয়ালির ঝঙ্কারে পুরো মুক্তমঞ্চ আন্দোলিত হয়। দর্শকদেরও সুরে আচ্ছন্ন হয়ে মাথা ঝাকানোসহ হাতে হাত চাপড়ে তাল তুলতে দেখা যায়।
কাওয়ালি সংগীত উপভোগ করতে মুক্তমঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভিড় জমায়। তারা বেশ উৎফুল্ল এবং আনন্দের সঙ্গে কাওয়ালি উপভোগ করেন। তাদেরই একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাফিন।
তিনি বলেন, এই প্রথম সরাসরি কাওয়ালি উপভোগ করছি। এ এক ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা। কাওয়ালি বিদেশি ভাষায় বেশি প্রচলিত হলেও বাংলা ভাষায় ও কাওয়ালি প্রচলন রয়েছে। এর সুর তালে সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভক্তি এবং আধ্যাত্মিকতার একটা মিশ্র অনুভূতি পাওয়া যায়।
কাওয়ালি সন্ধ্যার আহ্বায়ক ফাইরুজ সাজিদা তাজরীন বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বাবিদ্যালয় সাংস্কৃতি চর্চার এক চারণভূমি। এখানে সব ধরনের সাংস্কৃতি চর্চাই হয়ে থাকে। আর গানের তো ভাষা দেশ ধর্ম কোনো কিছুই হয় না। আর কাওয়ালি যেহেতু সব ভাষার একটি মিশ্রণ, তাই আমরা চেয়েছি কাওয়ালিকে নিয়ে আসার। মূলত দর্শকদের একটি ভিন্ন স্বাদ দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের এ আয়োজন।
উল্লেখ্য, এবছর 'আঁধার হোক চূর্ণ, নিত্য নব সত্য সুরে’ স্লোগানে জলসিঁড়ি’ আয়োজন করেছে পাঁচ দিনব্যাপী ‘সাংস্কৃতিক মেলা ২০২৩’। এরই অংশ হিসেবে এ কাওয়ালি সন্ধ্যার আয়োজন। এর আগে, ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো তারা বিশ্বাবিদ্যালয়ে কাওয়ালি সন্ধ্যার আয়োজন করে। এবার এটির দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এসএ