ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সরকারের অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই অনুযায়ী আমরা আগামী বছর কাজ করব। এ বছর কোনো জটিলতা নেই। যার যা দায়িত্ব তা আমরা পালন করব। সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবে কাজ করব।
প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো হয়ে থাকে।
নির্বাচনী বছরে বই ছাপাতে অসুবিধা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এ বছর সরকারের নির্বাচনী বছর। গত বছরের চেয়ে এবার আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছি আমরা। ইতোমধ্যে এনসিটিবি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শুরু করে সবাইকে নিয়ে সভা করে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা করে জারি করে দিয়েছি। এ বছর আমরা নভেম্বরের মধ্যে যে কোন মূল্যে সব পাঠ্যপুস্তক উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো নিশ্চিত করব। এজন্য যা যা করা দরকার কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী তা করা হবে।
সচিব বলেন, এনসিটিবির আইনে বলা হয়েছে, পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রণয়ন ও মুদ্রণের কাজ এনসিটিবি করবে। আমরা একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছিলাম। সেখানে বিষয়টি (প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপানো) নিয়ে আমরা দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছি। সুবিধা-অসুবিধা, কোনটা হলে জনগণের বা নাগরিকদের ভালো হয়, কোনটা হলে শিক্ষার্থীদের ভালো হয়; সেভাবে আমরা পর্যালোচনা করেছি। পর্যালোচনা করে আমরা কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বছরের বই যেভাবে আছে সেভাবে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবো। এনসিটিবি কার্যপরিধি অনুযায়ী জনবল সংকটের কারণে ভারাক্রান্ত।
ফরিদ আহাম্মদ আরও বলেন, বই ছাপানোর বরাদ্দ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুকূলে আসে। আইন অনুযায়ী বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবিকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে দিতে হয়। এ কাজটা করার সক্ষমতা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রয়েছে। আমাদের বরাদ্দও আছে। এ কাজটা যদি আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে করতে পারি সরকারের অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। আমরা আরও দ্রুততার সাথে কাজটি করতে পারব। এনসিটিবির ওপরও বোঝা কমে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
এমআইএইচ/এমজেএফ