নাটোর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০৩১ সালে ৩৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে ক্যুমন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। ২০৪১ সাল নাগাদ জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ নিমার্ণের জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় নাটোরের সিংড়া উপজেলার দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং ব্র্যাক ক্যুমন লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে ক্যুমন কানেক্ট’র উদ্বোধনকালে ভার্চ্যুয়ালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে আমাদের শিশুদের সুন্দর করে শেখাতে পারি, তাহলে যারা যেই পেশায় যাক না কেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারবে। এজন্য এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমাদের শিশু-কিশোরদের উপহার দিচ্ছি। শিশুরা যেন এ ক্যুমন শিক্ষা চর্চা করতে পারে সেজন্য সারা পৃথিবীতে এ শিক্ষা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় মানসিক কোনো চাপ নেই। ছেলে-মেয়েরা আনন্দদায়কভাবে এ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, বিশ্বের ৬০টি দেশে ১৪ হাজার ৫০০ স্কুলে এ ক্যুমন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। বাংলাদেশে ২০২৩ সালের মধ্যে ছয়টি উপজেলার ছয়টি স্কুলে ক্যুমন কানেক্ট আমরা চালু করব। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে আমরা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, ব্র্যাকের ক্যুমন কানেক্ট প্রধান নেহাল বিন হাসান, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌর মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুর রহমান, দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনুসহ অনেকে।
ক্যুমন হলো জাপানের এক ধরনের টিউটরিং প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে শিশুরা বিশেষ প্রশিক্ষকের নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান সমস্যার ওয়ার্কশিট পূরণ করে একটি বিষয়ে (বিশেষ করে গণিত) দক্ষতা অর্জন করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
এসআই