ঢাকা, বুধবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

কৃষ্ণ রায়কে ‘শিবির’ বলে হত্যার হুমকি, ছাত্রলীগের ২ নেতার ছাত্রত্ব বাতিল হতে পারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
কৃষ্ণ রায়কে ‘শিবির’ বলে হত্যার হুমকি, ছাত্রলীগের ২ নেতার ছাত্রত্ব বাতিল হতে পারে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে হলে ডেকে নিয়ে মারধর ও ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে অভিযুক্ত হলেন- রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক মো. সোলাইমান।

তাদের দুই জনের ছাত্রত্ব বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।  

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটি হল প্রাধ্যক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত কমিটি ও হল প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম ও যুগ্ম সম্পাদক সোলাইমানের বিরুদ্ধে সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী দাবি করেন, তাকে হত্যা করে ‘শিবির’ বলে চালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী হল প্রশাসন আবাসিক শিক্ষক অনুপম হীরা মণ্ডলকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তবে তদন্ত কমিটি কয়েক দিন বিলম্বে প্রতিবেদন জমা দেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন শিক্ষক জানিয়েছেন, তদন্তে কৃষ্ণকে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা অনাবাসিক হওয়ায় তাদের সিট বাতিল করা যাবে না। তবে তাদের যাতে ভবিষ্যতে আবাসিকতা না দেওয়া হয়, সে জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্তদের ছাত্রত্ব বাতিলের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অনুপম হীরা মণ্ডল বলেন, তারা ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য চেষ্টা করেছেন। সেই অনুযায়ী প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তারা হল প্রশাসন মিটিং ডেকেছেন। এতে প্রতিবেদেন পর্যালোচনা করা হবে। আর এতে অভিযোগের সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ছাত্রত্ব বাতিলের সুপারিশ প্রশ্নে তিনি বলেন- এ ব্যাপারে অফিসিয়ালি কোনো সিদ্ধান্ত হলে পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সবাই জানতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।