ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ডিভোর্সের পরও নির্যাতন: ইবি ছাত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
ডিভোর্সের পরও নির্যাতন: ইবি ছাত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

ইবি: ডিভোর্সের পরও শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে নিতে জোর করা, গোপন ছবি ছড়িয়ে দেওয়া এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনে হাফিজুর রহমান নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক ছাত্রী।  

ভুক্তভোগীর নাম রিমা সুলতানা আক্তার।

তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী। অপরদিকে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি নওগা জেলার পত্নীতলায়।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। বুধবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরিনকে আহ্বায়ক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিমকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।  

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী প্রক্টর জয়শ্রী, সাজ্জাদুর রহমান টিটু, মো. শরিফুল ইসলাম। কমিটিকে আগামী ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনার তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, এর আগে বিষয়টি নিয়ে গত ২ মার্চ ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।  

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী বলেন, প্রেমের সূত্র ধরে পরিবারকে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হাফিজুর রহমানকে বিবাহ করি। বিবাহের কিছুদিন পর তিনি আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। তার নির্যাতনের মাত্রা এতটা অসহনীয় ছিল আর আমার প্রাণনাশের ভয়ে আমরা যে বাসায় ভাড়া ছিলাম সেখানকার বাড়িওয়ালা আমাদের বাসা থেকে বের করে দেন। আমি গত ৩১ জানুয়ারি তাকে কাজীর মাধ্যমে খোলা তালাক দেই।

তালাকের পরও তিনি আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রাখতে চান। এমনকি স্বামী-স্ত্রীর ধারণকৃত গোপন ছবি ছড়িয়ে দেবারও হুমকি দেন তিনি। এতে আমি রাজি না হলে তিনি আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন।

পরবর্তীতে তিনি আমাকে ‘তুমি গর্ভবর্তী, টেস্ট করতে হবে’ মিথ্যা বলে মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখান থেকে আসার পথে ক্যাম্পাসের রাস্তায় তিনি আমার চোখে আঘাত করেন ও বেধড়ক মারধর করেন। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।