ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতির বাইরে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে গ্রহণের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির মিটিং আহ্বানের জন্য উপাচার্যকে অনুরোধ জানানো হবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, ইউজিসির মিটিং থেকে ফিরে এসে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় তিনি জানান ইউজিসি থেকে আবারও গুচ্ছের অধীনে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং ডাকা হয়। মিটিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ওপর সম্মান রেখে আগের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতক্রমে গৃহীত হয়।
আগামীকাল (বুধবার) উপাচার্যকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির মিটিং আহ্বানের আনুরোধ করা হবে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, যেহেতু আমাদের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে তাই আমরা সেই সিদ্ধান্তে অনড় আছি। আর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে তাই আগামী ৪ তারিখের মধ্যে ভর্তি কমিটির মিটিং ডাকার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘ঢাকা থেকে আসার পর উপাচার্য আমাদের সঙ্গে বসেছিলেন। সেখানে তিনি ইউজিসির বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
আমরা বলেছি যেহেতু এটা একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত এর বাইরে যাওয়ার স্কোপ নেই। সে অনুযায়ী কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিয়ে মিটিং ডেকে আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির মিটিং ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরুর জন্য অনুরোধ করে উপাচার্যের কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি (উপাচার্য) একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে বলেছিলেন ঢাকা থেকে ফিরে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করবো। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘চিঠি এখনো পাইনি। চিঠি পেলে শিক্ষকদের নিয়ে আলাপ করবো। সরকার একদিকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইবি ও জবি গুচ্ছে যাবে।
আরেকদিকে শিক্ষকদের ছাড়াও ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না। ফলে আমাদের তিনজনের (ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার) হ্যাম্পার হচ্ছে। কারণ সরকার আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। আমি শিক্ষকদের ব্যাপারটা সরকারকে জানাবো, শিক্ষকদেরও বোঝানোর চেষ্টা করবো।
শিক্ষকদেরও অনুরোধ করবো, সরকার জুলাইয়ের মধ্যে ক্লাস শুরুর একটি রোডম্যাপ দিয়েছে। এটা তারা ভাববেন। আমরা এখন এমন অবস্থায় আছি এককভাবে গেলেও যে সময় লাগবে, গুচ্ছে গেলেও তাই লাগবে। হয়তো ১০-২০দিন হেরফের হতে পারে। ’
ইউজিসির সদস্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘২৭শে ফেব্রুয়ারি শিক্ষমন্ত্রীর মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত ছিল যারা গতবার গুচ্ছে অংশ নিয়েছে তারা এবারও থাকবে। আমরা ইউজিসির পক্ষ থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।
এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত তারা কি করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছে যেতে না চাইলে কোনো অসুবিধা নেই। এখানে মুখোমুখি অবস্থানের কোনো বিষয় নয়। যেমন আমরা ঢাবি, রাবি, জাবি, চবিকে তো গুচ্ছে আনতে পারিনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
আরএ